Home » জেলার খবর » বিচারকের বিশেষ নির্দেশের পরেও আবার সম্পর্কে টানাপোড়েন

বিচারকের বিশেষ নির্দেশের পরেও আবার সম্পর্কে টানাপোড়েন

মাস দুয়েক আগে সিউড়ির বাসিন্দা গৌতম ও অহনা তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙ্গার জন্য সিউড়ি আদালতের কাছে আবেদন করেছিল। তারপর বিচারকের বিশেষ নির্দেশে তাদের একটি হোটেলে রেখে সম্পর্ক আবার করে ঠিক করার চেষ্ঠা করা হয়। সেই সময় সাময়িক ভাবে সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটে গেলেও আবার ভাঙন ধরে তাদের সম্পর্কে। গত সপ্তাহে অহনা আদালতে চিঠি দিয়ে জানায় তার শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করার সুস্থ পরিবেশ নেই সেই পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তিনি তার বাবার বাড়ি থেকেই এই অভিযোগ পত্র পাঠান। সিউড়ি থানার পুলিশ এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশীট পেশ করে আদালতে। এদিন পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, অহনা তার স্বামী গৌতম দাস, দাদা, শ্বশুর এবং মামা শ্বশুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর মধ্যে তার স্বামী, শ্বশুর এবং তার স্বামীর দাদা আদালতের কাছে আগাম জামিন নিলেও তার মামা শ্বশুর এখনও জামিন নেন নি বলে জানা গেছে। পুলিশ চার্জশীটে তার মামা শ্বশুরকে পলাতক হিসাবে দেখিয়েছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে অহনার মামা শ্বশুর কামীনি মোহন সরকার প্রাক্তন অতিরিক্ত জেলা শাসক হিসাবে পরিচিত রয়েছেন সিউড়ি শহরে। তার বিরুদ্ধেও অহনা বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তাকে পুলিশ চার্জশীটে পলাতক দেখালেও কামীনি বাবু জানান তিনি বাড়িতেই আছেন। তবে তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চান নি। এদিকে এদিন অহনা দাস বলেন, “আগেও আমি শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলাম। তখন আদালতের নির্দেশে আমরা আবার এক হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু এখানে এসে কিছু দিন যেতে না যেতেই ফের শ্বশুর বাড়ির লোকেদের অত্যাচার শুরু হয়। আমি তাদের অনেক ভাবে বোঝানো চেষ্ঠা করি। আমার স্বামীও তাদের সঙ্গে মিলে আমার ওপর নানা ভাবে মানসিক অত্যাচার করেছে। আমি বাধ্য হয়ে ফের আদালতে চিঠি লিখি ।আমার আশা আদালতের কাছে সুবিচার পাবো।”
এদিকে অহনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগেই মেয়ে বাপের বাড়ি কাটোয়ায় চলে যায়। বর্তমানে সে অসুস্থ। সেখান থেকেই শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশের কাছে। শুক্রবার আদালতের নির্দেশে অহনা এবং গৌতমকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। কিন্তু গৌতম উপস্থিত থাকলেও অহনা অসুস্থতার কারনে আদালতে আসতে পারেন নি বলে তিনি আদালতকে জানান। তারপর ফের বৃহস্পতিবার তিনি আদালতের কাছে উপস্থিত হন। অন্যদিকে এই ঘটনার পর গৌতম দাস বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছু জানাতে চাই না সংবাদ মাধ্যমকে। এটা আমাদের পারিবারিক বিষয় আমরা নিজেরাই দেখে নেবো।” বৃহস্পতিবার সিউড়ি থানার পুলিশ এই মামলায় চারজনের বিরুদ্ধে সিউড়ি আদালতের কাছে চার্জশীট পেশ করে।

তথ্যঃ কৌশিক সালুই
ভিডিও শুভদীপ পাল

Comments