Home » জেলার খবর » জেলায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

জেলায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা


বীরভূম ৩০ জুলাইঃ- বেড়েই চলেছে বীরভুম জেলাতে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতেই জল বাহিত রোগও শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে বন্যার জলের স্তর একই থাকায় পানীয় জল নিয়ে অভাব এবং আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ প্রশাসনের।
বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার পর্যন্ত জেলায় মোট ১১জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সব থেকে বড় অংশ আক্রান্ত হয়েছে জেলার দুবরাজপুরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের ইসলাম পুর এলাকায়। সেখানে আজ অবধি প্রায় সাত জন ডেঙ্গে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি জেলার রামপুরহাটে ১জন, সদাইপুরে ১ জন এবং সাইথিয়া ব্লকে ২ জনের ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। বেসরকারি আরো কিছু বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করে ইতি মধ্যেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর মনিটারিং শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া এলাকা ভিত্তিক বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে কিছু স্বাস্থ্য ক্যাম্পও করার কথা ভাবছে স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে এই বন্যার জল সরে যাওয়ার পর কবলিত এলাকা গুলিতে পানীয় জলের কিছু সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে। কারন এই সময় জল বাহিত রোগের পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। উল্লেখ্য গত এক দিন আগেই জেলার খয়রাশোল এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ শুরু হয়েছিল। প্রায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়। কয়েক জন সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছিল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। এদিকে জেলার মুল বন্যা কবলিত এলাকা লাভপুর, সাইথিয়ার কিছু অংশে বন্যার জল সড়ে যেতেই পানীয় জলের একটা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন্যার জল সড়ে যাচ্ছে সেটা ঠিকই কিন্তু বর্ষাকালে অন্যত্র বৃষ্টি হওয়ায় বন্যার জলের স্তর এখন ভূপৃষ্ঠে রয়েই গেছে। তাই পানীয় জল মাটির নিচে থেকে তুলে যেমন টিউবওয়েল বা কুয়োর জল পান করা খুবই আতঙ্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্রামবাসীদের। কারন ইতিমধ্যেই খয়রাশোলের ডায়রিয়ার উদাহরণ সকলের জানা। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানিয়েছেন, “বন্যার পর জল বাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার এক সম্ভাবনা থেকে যায়। আমরা প্রতিটি বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে নজর রাখছি। আর জেলাতে এখনও অবধি ১১জন ডেঙ্গি রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা তাদের চিকিৎসার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার সেটা নিয়েছি। যাতে এই রোগ ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য সচেতনতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকাতে পর্যাপ্ত পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তথ্যঃ মায়া সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments