Home » জেলার খবর » বালিঘাটে উত্তেজনা

বালিঘাটে উত্তেজনা

বীরভূম ৩ জুলাইঃ-   বালিঘাটের লোডিং নিয়ে শ্রমিক বিবাদে উত্তাল হল এলাকা। ভাঙচুর করা হয়েছে গ্রামের একটি ক্লাব, কয়েকটি দোকান ও তৃণমূল নেতার বাড়ি। ছোঁড়া হয় বোমা। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার গভীর রাত্রে বীরভূমের সিউড়ি থানার কেন্দুলী গ্রামে। ঘটনায় কয়েক জন জখম হয়েছেন। পুলিশে দাবি এলাকায় পরিস্থতি নিয়ন্ত্রনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা  গিয়েছে,কেন্দুলি গ্রামের পাশে ময়ূরাক্ষী নদী। ওই নদীতে একটি বালির ঘাট রয়েছে। সেখানে কেন্দুলি ও পার্শ্ববর্তী কুশতোর গ্রামের শ্রমিকরা বালি লোডিং করেন। এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে দ্বন্ধ চলছিল দুই গ্রামের শ্রমিকের মধ্যে।  অভিযোগ এর জেরে  কেন্দুলী  গ্রামের মিতালী সংঘ নামে একটি ক্লাবে শনিবার রাত্রে কিছু বহিরাগত দুস্কৃতি ভাঙচুর চালায় ও  বোমাবাজি করে। এই ঘটনায় একজন শ্রমিক সহ তিনজন জখম হয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।  ঘটনার পর সোমবার সকালে কেন্দুলী গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষুদ্ধ হয়ে  তৃনমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি তথা শ্রমিক সংগঠনের নেতা  গদাধর সৌ এর বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। অন্যদিকে মালিক পক্ষের দাবি সরকারী ভাবেই টেন্ডারে  আমরা বালি ঘাটের মালিকানা পেয়েছি। সেখানে কাজ করাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রাম কেন্দুলী ও কুশতোর  গ্রামের শ্রমিকদের  মধ্যে গণ্ডগোল বাঁধে। প্রথমে  বালি বোঝায় কয়েকটি লরি আটকে কেন্দুলী গ্রামের শ্রমিকেরা  ভাঙচুর চালায়। পিয়ার আলি নামে এক বালি ঘাট কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে  অভিযোগ। যদিও এই গণ্ডগোল শ্রমিকদের সেখানে তাদের কোন ভুমিকা নেই। যারা বালি ঘাটে কাজ করতে ইচ্ছুক সকলকেই কাজ দেওয়া হবে। অন্যদিকে কেন্দুলী গ্রামের শ্রমিকদের অভিযোগ তাঁদেরকে ঠিক মতো কাজ দেওয়া হয় না। কাজ চাইতে গেলে কুশতোর এর শ্রমিকরা গণ্ডগোল পাকায়। কেন্দুলী গ্রামের বাসিন্দা তথা বালি ঘাটের শ্রমিক  কুমারেশ বাউড়ি বলেন, আমি ক্লাবের কাছে দাঁড়িয়ে ছিলাম রাত্রি ৯ টা নাগাদ। কিছু দুষ্কৃতী বোমা   নিয়ে ক্লাবে আসে ও বোমাবাজি শুরু করে। আমাকে মারধোরের পাশাপাশি ক্লাবে ও কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর করে।  প্রায় ১৪ টি বোমা ফটিয়েছে দুস্কৃতিরা। সিউড়ি থানার আই সি দেবশিস পান্ডা বলেন, ঘটনায় কোন অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে।

তথ্যঃ কৌশিক সালুই

[uam_ad id=”3726″]

Comments