Home » জেলার খবর » অবৈধ বালিখাদান বন্ধের দাবিতে বৈধড়া ব্যারেজ মোড়ে পথ অবরোধ

অবৈধ বালিখাদান বন্ধের দাবিতে বৈধড়া ব্যারেজ মোড়ে পথ অবরোধ

নলহাটি : ব্রাহ্মনী নদীর উপর বৈধড়া ব্যারেজ আর তাতে বড় বড় করে সহ বাস্তুকারের নির্দেশ “ব্রিজের উপর-নীচে ২কিমি অবধি বালি তোলা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ” ! এ যেন নির্দেশ লেখা থেকেই যাই তা আর কে মানে? যার ফলস্বরুপ ব্রিজের নিচে ট্রাক্টর বালি তুলে নদীতে গর্ভের সৃস্টি করছে । অন্যদিকে ব্রিজের উপরে নদীর জল যেখানে বাঁধা থাকে সেখানেও নেই ছাড় জলের মধ্যে নৌকাতে বালিতোলার যন্ত্র লাগানো থাকছে। আর জলসহ সেই বালি উঠে যাচ্ছে ছয় থেকে দশচাকা বড় বড় লরি সহ ট্রাক্টরে । মূলত নলহাটি থানার অন্তর্গত উদয়নগর , জয়পুর, মাধবপুর প্রভৃতি গ্রামথেকে প্রতিদিন উঠে যাচ্ছে শত-শত লরি বালি। যার ফলে নদীগর্ভের সৃস্টি হয়েছে আর ফলে বন্যার সময় নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে । এই অবৈধ বালিখাদান বন্ধের দাবিতে আজ সকাল ৮টার সময় থেকে বৈধড়া মোড়ে পথ অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা যার ফলস্বরুপ তীব্র যানজটের সৃস্টি হয় নলহাটি-রামপুরহাট ভায়া বৈধড়া রাস্তায় । প্রায় ১০০টির বেশি ট্রাক্টর-লরি দাড়িয়ে পড়ে রাস্তায়। একঅবরোধকারী জানে আলম জানান যে “কিছু স্থানীয় দুস্কৃতি প্রশাসনের সম্পূর্ন সহযোগিতায় এই অবৈধ বালিখাদানগুলি তৈরি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সম্পূর্ন অমান্য করে বালি তুলছে। আমরা সকলে বিডিও , এসডিও কে জানিয়েছি কিন্তু কোনো সুরাহা মেলেনি।” অবরোধকারীদের দাবি বালি তোলার ফলে যেকোনো সময় ব্যারেজের বাঁধ ভেঙে যেতে পারে এবং প্রায় ৫০টির বেশি গ্রাম ভেসে যাবে। ২০০০সালের বন্যায় এলাকা সম্পূর্নভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় সেই বেদনা দায়ক ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য এই অবরোধ । এছাড়া তারা জানান যে প্রশাসন এ ব্যাপারে সবকিছু জানলেও কোনো ব্যবস্থা করেন করেন না এবং মুলত রাতের অন্ধকারে বেশি বালি নদীগর্ভ থেকে উঠে যাচ্ছে। অবরোধ ঘন্টাখানেক চলতে থাকলেও প্রশাসনের কোনো দেখা মেলেনি ।

ছবি ও তথ্যঃ মনতোষ চৌধুরী
[uam_ad id=”3726″]

Comments