Home » জেলার খবর » শিক্ষক দেওয়ার দাবিতে অবরোধ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের

শিক্ষক দেওয়ার দাবিতে অবরোধ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের

ছাত্রসংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক এর বেশী। আর তাঁদের পঠন পাঠনের জন্য আছেন মাত্র তিনজন শিক্ষকা। এর মধ্যে দুই জন ব্যাক্তিগত কারনে ছুটিতে আছেন। ফল স্বরূপ পড়াশোনা কার্যত বন্ধ এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শিক্ষক দেওয়ার দাবিতে অবরোধ পড়ুয়া ও অভিভাবকদের। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি শহরে। বুধবার সিউড়ির বড়পোস্ট অফিস মোড়ে ঘন্টা তিনেক পথ অবরোধ করেন। ফলে সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ থেকে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
সিউড়ি শহরের সিউড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে ৩০২ জন ছাত্র। শিক্ষকাই তিনজন। বিপুল সংখ্যক ছাত্র তুলনায় নগন্য শিক্ষক সংখ্যায়। যেখানে ৭ জনের বেশী শিক্ষক থাকার কথা। কয়েক বছর ধরে এমনিতেই ডামাডোল চলছে সিউড়ির প্রানকেন্দ্রে থাকা শতাব্দী প্রাচীন জনপ্রিয় স্কুল সিউড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এরপর শিক্ষিকারা তাদের পাওনা ছুটি নিলে তো কথাই নেই। লাটে ওঠে পঠন-পাঠন। ঘটনার কথা জানেন না এমন কেউ নেই শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। তবুও কোনো সুরাহা হয় নি সমস্যার। এরইমধ্য দুই শিক্ষিকার একজন চাইল্ড কেয়ার লিভ নিয়েছেন সন্তান অসুস্থ বলে অপর একজন মেডিক্যাল লিভ নিয়ে গিয়েছেন দক্ষিন ভারতে চিকিৎসা করাতে। স্কুলে পড়ে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা একা। স্কুলে স্বাভাবিকভাবেই দেখা দিয়েছে অচলাবস্থা। পথানন পাঠন শিকেই ওঠার জন্য ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে অভিভাবকদের। তাই এদিন বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন অবরোধের পথই।
অভিভাবক রুপালী রায়, অসীম চৌধুরীরা বলেন, ‘‘এই স্কুল থেকে পাশ করলে সরাসরি লাগোয়া চন্দ্রগতি হাই স্কুলে ভর্তি হওয়া যায়। তাই স্কুলে ছাত্রসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।। অথচ মিলছে না শিক্ষক। পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটায় ছাত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তাই আমরা বাধ্য হয়েছি চরম পথটি নিতে।’’ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ভাস্কর লন্ডল, অভিষেক ঘোষরা বলেন, ‘‘আমাদের সব ক্লাস হয় না। একই ঘরে দুটো ক্লাসের ছেলেদের বসানো হয়। তাড়াতাড়ি ছুটিও হয়ে যায়।’’ অভিভাবকরা জানান, হাল এমনই যে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রদের দিয়েও নীচু শ্রেণির ক্লাস করাতে বাধ্য হন শিক্ষিকারা। এমনকি এই কারনে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির পঠন-পাঠনই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সুজাতা বাদ্যকর জানান, সমস্যার কথা এস আই, ডি আই , চেয়ারম্যান সকলকেই জানানো হয়েছে। কিন্তু স্থায়ী সমাধান কিছু হয় নি। বীরভূম জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ এর সভাপতি রাজা ঘোষ বলেন, দুই দিনের মধ্যে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় শিক্ষক দেওয়া হবে।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments