Home » জেলার খবর » জেলা জুড়ে হু হু বাড়ছে ডেঙ্গী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

জেলা জুড়ে হু হু বাড়ছে ডেঙ্গী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা

জেলা জুড়ে হু হু বাড়ছে ডেঙ্গী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এখনো পর্যন্ত বীরভূম জেলাত প্রায় ৪৩ জন ডেঙ্গীতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে। সব থেকে ভয়াবহ পরিস্থিতি দুবরাজপুরে শহরে। বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ও পুরসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার উৎস খুঁজে দেখেন ও কি কি সাবধানতা অবলম্বন করলে ডেঙ্গী প্রতিরোধ করা যাবে তা আক্রান্ত এলাকার মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন ও এলাকা পরিচ্ছন্ন করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও দুবরাজপুর পুরসভার।
বীরভূমের দুবরাজপুরের ডেঙ্গী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পতঙ্গবিদ ডঃ সুরজিতা সরকারের নেতৃত্বে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল দুবরাজপুর শহরের ইসলামপুর এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সঙ্গে ছিলেন বীরভূম জেলা ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ শকুন্তলা সরকার ও পুরসভার প্রতিনিধিরা। ডেঙ্গী জ্বরের বাহক এডিস মশার উৎস স্থল তারা খুঁজে বের করেন ও লার্ভা সংগ্রহ করেন। পরে তারা দুবরাজপুর পুরভবনে গিয়ে স্থানীয় বিধায়ক নরেশ বাউড়ির উপস্থিতিতে স্বাস্থ্য কর্মী ও পুর সভার প্রতিনিধিদের নিয়ে ডেঙ্গী প্রতিরোধে কি কর্মসুচী গ্রহণ করা হবে সেই নিয়ে আলোচনা করেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে এদিন পর্জন্ত রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলা এলাকায় ১০ জন ডেঙ্গীতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং বীরভূম জেলার বোলপুর এবং সদর সিউড়িতে ৩৩ জন ডেঙ্গীতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুবরাজপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুরেই ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক জন ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক জন ডেঙ্গী আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। দুবরাজপুর পুরপ্রধান পীযুষ পান্ডে বলেন, আমাদের কর্মীরা প্রতিদিন নিয়ম করে এলাকায় চুন ব্লিচিং ছড়াচ্ছে। নর্দমা ও এলাকার অব্যবহৃত পুকুর গুলিকেও পরিষ্কার করা হচ্ছে। ঝোপ জঙ্গল ও সাফাই করা হচ্ছে। ডেপুটি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ শকুন্তলা সরকার বলেন, এলাকায় হ্যান্ডবিল ও পোষ্টার দিয়ে সচেতন মুলক প্রচার করা হবে। পুর সভার সহযোগিতায় একটি দল করা হচ্ছে যারা ওই আক্রান্ত এলাকায় প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে নজরদারি চালাবে। স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধি ডঃ সুরজিতা বন্দোপাধ্যায় জানান, এডিস মশা হল ডেঙ্গী রোগের বাহক। ডেঙ্গী আক্রান্ত কোন রোগীকে কামড়ালে সেই মশার লার্ভা থেকে যখন ফের মশা হবে সেই মশাও যেকোন সুস্থ মানুষকে কামড়ালে সেও ডেঙ্গী আক্রান্ত হবে। এই মশা প্রায় দেড় কিমি এলাকা জুড়ে ঘুরে বেড়ায় তাই খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ডেঙ্গী। এদিন ওই এলাকায় বেশ কিছু বাড়িতে দেখলাম অব্যবহৃত পাত্রে খোলা অবস্থায় জল জমে রয়েছে এবং সেখান থেকেই এডিস মশার লার্ভা সংগ্রহ করেছি। সব থেকে বেশী সাধারন মানুষকেই সচেতন হতে হবে। বাড়িতে কোথাও জল জমে রাখা চলবে না। মসারীও ব্যবহার করতে হবে সবাইকে। সাবধনতা অবলম্বন করলেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments