Home » জেলার খবর » বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখলেন জেলাশাসক

গত পরশু কিছুটা হলেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছিল বীরভূম জেলায়। কিন্তু তার পর কাল বিকালের পর থেকে আবার করে মুশল ধারে বৃষ্টি নামে জেলায়। এর ফলে একেই জেলার বিভিন্ন নদী উপকূলবর্তি এলাকা গুলি অবস্থা খারাপ ছিল। তার ওপর রাত ভোর বৃষ্টির জেরে সন্ধ্যার পর বীরভূমের লাভপুরের কুয়ে নদীর বাঁধ। প্লাবিত হতে শুরু করে আশেপাশের গ্রাম এলাকা। এর ফলে আতঙ্কিত হয়ে বহু গ্রামবাসী এলাকা ছেড়ে চলে যেতে শুরু করে অন্যত্র। তবে এদিন লাভপুরের বন্যা পরিস্থিতি ক্ষতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে জান বীরভূমের জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী। তিনি সহ তার দপ্তরের একাধিক আধিকারিক, সেচ দপ্তরের আধিকারিক সবাই কখনও নৌকায় করে কখনও পায়ে হেটে প্লাবিত গ্রাম এলাকা ঘুরে দেখেন। জল বন্দি মানুষদের সাথে কথা বলেন তারা। আক্রান্ত মানুষদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এবং যেখানে যা সমস্যা আছে দ্রুত মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন জেলা শাসক। এদিন রবিবার সকাল থেকেই এই লাভপুরের বিস্তির্ন বন্যা কবলিত এলাকার কুয়ে নদীর জল ফুঁসছিল। বেলা বারার সাথে সাথে বৃষ্টি একটুখানি কম হলেও ফের দুপুরের পর থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি হতে শুরু করে। যদিও জানা গেছে, গত কালকের পর থেকে প্রতিবেশি ঝাড়খন্ড রাজ্যে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। তাই ম্যাসাঞ্জোর ড্যাম্প থেকে আর কোনও জল ছাড়া হয় নি নতুন করে। এদিন জেলা শাসক এলাকা পরিদর্শনের পর সেচ দপ্তরকে নির্দেশ দেন যেন জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া জেলার কোনও ড্যাম্প থেকেই যেন আর জল না ছাড়া হয়। যদিও প্রায় বিপদ সীমার কাছাকাছি দিয়ে বয়ে চলেছে জেলার প্রতিটি নদীর জল। গোটা বিষয় গুলির দিকে নজর রাখছেন জেলা শাসক নিজে। লাভপুরের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যায় লাভপুরের কুয়ে নদীর বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। এর ফলে যেমন লাভপুর প্লাবিত হয়েছে তেমনই প্লাবিত হয়েছে কীর্নাহার বিদায়ি রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জির বাড়ি এলাকা মিরিটি গ্রাম। বন্ধ হয়ে গেছে সিউড়ি কাটোয়া রাস্তা। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের তরফেও নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে জেলা শাসকের কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।  বেশ কিছু জায়গায় সেতু ও কজওয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে  যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
অন্যদিকে বীরভূমের লাভপুরের বন্যা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন তৃনমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি ওই এলাকার নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মানুষের পাশে থেকে তাদের উদ্ধার কাজে প্রশাসনের সাথে কাজ করার জন্য। তিনি নিজেও গতকাল লাভপুরের বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখন এবং রবিবার একটি অনুষ্ঠানের পর তিনি বলেন, আবারও তিনি কাল এলাকায় যাবেন। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। আমি আবার কাল যাবো এলাকায়। আমি দলের কর্মীদেরও বলেছি যাতে মানুষের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকে। কাল শুনেছি একটি বাচ্চা জলে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। ঘটনাটি খুবই মরমান্তিক। তবে মানুষ জনকে সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। এটা প্রাকৃতিক দূর্যোগ মনে রাখতে হবে।”
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments