Home » জেলার ইতিহাস » ব্রজধামের নিয়মানুসারে একচক্রাতে দোল উৎসব

ব্রজধামের নিয়মানুসারে একচক্রাতে দোল উৎসব

 

বছরের পর বছর ধরে ব্রজধামের নিয়মানুসারেই দোল উৎসব পালিত হয়ে আসছে বীরভূমের বীরচন্দ্রপুরে নিত্যানন্দ জন্মস্থান একচক্রাতে। এখানকার দোল উৎসব অন্যান্য স্থানের দোল উৎসবের থেকে তাৎপর্যমন্ডিত।

দোল পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যাবেলায় মাঠ প্রান্তরে চাঁচড় পোড়ানোর মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা। যা মেড়া পোড়া বা নেড়া পোড়া নামে স্থান বিশেষে প্রচলিত।
প্রচলিত পুরাণ কথানুসারে মেড়া নামক এক দৈত্যের বিভীষিকায় যখন মর্ত্যবাসী ভীত। তখন কৃষ্ণ এবং বলরাম, সেই দৈত্যের গৃহে আগুন দিয়ে তাকে ভস্মীভূত করেন। এরপর আনন্দ উৎসব হিসাবে হোলিয়া উৎসবে মেতে ওঠেন ব্রজবাসী।

পরবর্তী সময় থেকে অশুভ শক্তির প্রতীক হিসাবে বাঁশের দন্ডে খড় জড়িয়ে গৃহের আকার দিয়ে দোল পূর্ণিমার দিন বিগ্রহ দেব মূর্তিকে সেই গৃহ সাতবার প্রদক্ষিণ করে তাতে অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয় এবং ফাগের রঙে হোলি উৎসব শুরু হয়।
নিত্যানন্দ জন্মস্থান একচক্রা(বীরচন্দ্রপুর) ধামে মহাসমারোহে হোলি উৎসব একই ভাবে পালিত হয়।

“কৃষ্ণ প্রতিমূর্তি” বাঁকারায়, মনমোহন এবং মদন মোহন দেব এর জিউ বিগ্রহকে সিংহাসনে করে গ্রাম প্রদক্ষিণ করতে করতে ভক্তবৃন্দ খোল করতালের অনুসঙ্গে উচ্চকন্ঠে গাইতে থাকেন।

“আজু কানাইয়া লালে লাল
হোলিয়া খেলে মদনগোপাল ,
খেলাতে জিনিলে হরি
বামে দেহ রাইকিশোরী,
আমরা তোমার হব দাসী রাঙাচরণে
খেলাতে হারিলে হরি
কেড়ে নেব রাইকিশোরী হারিলে কলঙ্ক হবে বৃন্দাবনে”!

এইভাবে ফাঁকা প্রান্তরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নির্দিষ্ট রীতি মেনে মেড়া পোড়ানোর মধ্য দিয়ে হোলি উৎসবের সূচনা হয়।

Comments