Home » জেলার খবর » ইভটিজিং-প্রতিবাদী ছাত্রী-চলে উত্তম মধ্যম

ইভটিজিং-প্রতিবাদী ছাত্রী-চলে উত্তম মধ্যম

কিশোরীকে ইভটিজিং করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কিশোরীর হাতেই উত্তম মধ্যম খেল তিন পড়ুয়া। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত তিন পড়ুয়াকে আটক করেছে৷ ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের সাঁইথিয়া থানা এলাকায়৷ সকলেই ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ বস্তুত, আজ থেকেই শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রী পাড়াতে বাড়ি প্রিয়াঙ্কা সিংহরায়ের। বাবা নির্মল সিংহ রায় ব্যবসা করেন৷ সাঁইথিয়া শশিভূষণ দত্ত উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের  উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ  হাতঘরির ব্যাটারি কিনতে পাডার একটি ছোট্ট বোনকে নিয়ে সাইকেলে করে স্থানীয় ধর্মরাজ তলাপাড়াতে যাচ্ছিল কিশোরী ৷ অভিযোগ, সেই সময় রমা রানী স্কুল মোড়ের কাছে তিন কিশোর প্রথমে তাঁকে কটুক্তি করে৷প্রতিবাদ করে প্রিয়ঙ্কা। তাতে ইভটিজারের দল এগিয়ে আসে।  রাস্তা ফাঁকা পেয়ে তারা প্রিয়ঙ্কা হাত ধরে টানাটানি শুরু করে৷ তখন ও পাল্টা চ্যালেঞ্জ নেয় প্রিয়ঙ্কা। বেপরোয়া ইভটিজারের দল তখন বলে ওঠে, ‘ঐ মেনটাল পেটেন্ট টার বার কত দেখ।’ “তাতে দমে যায় নি সে উল্টে সাইকেল থেকে নেমে তেড়ে যায ইভটিজারের দিকে। কখনও ডান পায়ে কখনও বা পাযে সজোরে পাঞ্জ কষিয়ে দেয। মুহুর্তে ছিটকে যায় দুজন। অপর জন কে পেটে ঘুষি মেরে শুইযৈ দেয সে। ততক্ষণে চিৎকার করতেই লোক জড়ো হযে যায। ততক্ষনে প্রিয়ঙ্কা নিজে গিয়ে মা কে ডেকে নিয়ে এসে ফের ঘটনা স্থলে আসে। এদিকে
গোলমালের আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয়রা৷ ততক্ষণে কিশোরীর মারে তিন কিশোর কাহিল হযে গেছে। পুরো ঘটনা শোনার পর স্থানীয়রা ফের আরেক দফা উত্তম মধ্যম দেয় তাদের৷
খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের আটক করে নিয়ে যায়৷ ওই ছাত্রীর মা সুলেখা সিংহরায়ের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ আটক অমিত সাহানি, দ্বীপ মণ্ডল ও ভাস্কর মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।পরে দুজন নাবালক ও একজন প্রাপ্ত বয়স্ক কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মা সুলেখা সিংহ রায় বলেন মেয়ে অন্যায় প্রতিবাদ করে রুখে দাঁড়িয়েছে এতে আমি খুশি। অন্য মেযেরাও রুখে দাঁড়াগ এটাই চাই।
প্রিয়ঙ্কা দাদা অঙ্কুর সিংহ রায় বলেন, বোন তখন ক্লাস সেভেনে পরে তখন স্কুলে প্রথম ও ক্যারাটে শেখে কয়েকমাস তারপর থেকে ও নিজের চেষ্টায় ক্যারাটে শিখে আসছে। আজ ওর আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটে শেখা স্বার্থক।
প্রিয়ঙ্কা বলেন  ‘‘ওরা ভেবেছিল- যা খুশি করবে৷ জানতো না যে আমি ক্যারাটে প্রশিক্ষিত৷ প্রথমে ভালোভাবে বারণ করা সত্বেও ওরা শোনেনি৷ ওরা অশালীন আচরণ করছে দেখে আত্মরক্ষার্থেই আমি পালটা মারধর শুরু করি৷’’

তথ্যঃ কৌশিক সালুই

Comments