Home » জেলার খবর » ভিন রাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ দুই যুবক

ভিন রাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ দুই যুবক

ভিন রাজ্যে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে নিখোঁজ দুই যুবক। ছেলেদেরকে খুঁজে পেতে পরিবার বীরভূম জেলা কাছে দরবার দুই পরিবারের। তাদেরকে হারিয়ে কার্যত দিশেহারা পরিবার দুটি। পুলিশের জানানোর সঙ্গে ইতিমধ্যেই তারা মুখ্যমন্ত্রীকেও ডাক যোগে তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তার কোন সদুত্তর না পাওয়ায় তারা সিউড়িতে জেলা শাসকের কাছে বৃহস্পতি বার দরবার করেন।
পরিবার সুত্রে গিয়েছে নিখোঁজেরা হলেন বীরভূমের পাড়ুই থানার সুন্দিপুরের বাসিন্দা বিলু বাগদি এবং অপর জন হলেন বর্ধমান পুর্ব জেলার আউসগ্রাম থানার আদুরিয়া গ্রামের সুজিত বাগদি। দুই জনেই প্রায় মাস চারেক আগেগত ৮ এপ্রিল ইলামবাজারের বাসিন্দা চাঁদ মহম্মদ নামে এক যুবকের মাধ্যমে কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালুরুর সোমনালিতে বেসরকারী সংস্থায় ঠিকা শ্রমিকের কাজ যায়। পরিবারের দাবি প্রথম দিকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখলেও মাস দেড়েক আগে থেকে তাঁদের সঙ্গে একেবারে কোন ভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। ফলে দুশ্চিন্তা গ্রাস করেছে ওই দুই পরিবারের। কারন ছেলেদের রোজগারে তাঁদের সংসার চলে বলে দাবি। সুজিতের বাবা কিঙ্কর বাগদি বলেন, ছেলে যেদিন শেষ বারের জন্য ফোন করেছিল সেদিন জানিয়েছিল যে সে খুব সমস্যায় আছে। তাকে মারধোর করা হচ্ছে। কিন্তু কোথায় আছে বা কে মারধোর করছে সেটা বলেনি। তার পর থেকে মোবাইল সুইচ বন্ধ। তাই আতঙ্কিত ছেলে অক্ষত অবস্থায় আছে তো’’। বিলুর বাবা নারায়ন বাগদি বলেন, ঠিক মতো মাইনে দিচ্ছেনা যেখানে কাজ করছে তাই খাওয়া দাওয়া তে সমস্যা হচ্ছে। তবে সে মারধোরের কথা বলেনি। তখন থেকে ওরও মোবাইল বন্ধ। আমরা ইলামবাজার থানাতে লিখিত জানিয়ে ছিলাম। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। মুখ্য মন্ত্রীকেও জানিয়েছি। কিন্তু দিন পনেরো হয়ে গেলেও তার উত্তর আসেনি। তাই আমরা জেলা শাসকের কাছে এসেছি। চাঁদ মহম্মদ ফোনে তার প্রতিক্রিয়াতে বলেন যে, আমি ৯ জনকে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু কিছু দিন পর ওই দুই জন্য সরসরি কোম্পানীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজে ঢুকে যায়। আমরা যে দিন বাড়ি ফিরছিলাম ৭ জন সঙ্গে এলেও তাঁদেরকে ফেরার কথা বলি কিন্তু শোনেনি। তার পর ওই দুই জনের কি হয়েছে সেটা বলতে পারছি না।
ছবি : শুভদীপ পাল
তথ্যঃ মায়া সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments