Home » জেলার খবর » পৌষ মেলা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক

পৌষ মেলা নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক

পৌষ মেলা নিয়ে সোমবার একটি বৈঠকে চুড়ান্ত কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে ও ভাঙা মেলা রুখতে এবার তিনদিনের জায়গায় ছদিন পৌষমেলা করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। সোমবার বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথি জেলা প্রশাসন , শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত যৌথভাবে একটি বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পৌষমেলা দূষণ সংক্রান্ত জাতীয় পরিবেশ আদালতে চলা একটি মামলার পরবর্তী শুনানিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত। এছাড়াও তিনি জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণে রেখে ছদিন মেলা চলবে। সপ্তম দিন বিকেল পাঁচ টার মধ্যে জেলা প্রশাসনের পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতায় মেলা প্রাঙ্গন খালি করে দেওয়া হবে। সুষ্ঠু মতো মেলা পরিচালনার জন্য সুভাষ দত্ত সহ তিন সদস্যের একটি পর্যবেক্ষক কমিটি তৈরি করা হয়েছে বৈঠকে। উল্লেখ্য ঐতিহ্যবাহী শান্তিনিকেতনের পৌষমেলায় দূষণ রুখতে ব্যর্থ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এই অভিযোগ তুলে পরিবেশ আদালতে একটি মামলা রজু করেছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক শুনানিতে উঠে এসেছিল ভাঙা মেলায় সবচেয়ে বেশি দূষণ সৃষ্টি হয়ে থাকে। অন্যদিকে ভাঙা মেলা না করতে দিলে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন ব্যবসায়ীরা বলেও দাবি উঠেছিল। সব মিলিয়ে ২০১৬ র পৌষ মেলা পরিচালনা নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জেলা প্রশাসনের মধ্যেও মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। তাই এবার পৌষমেলা সুষ্ঠু মত পরিচালনার জন্য আগাম বৈঠক করে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিন দুপুর ১২ টা বিশ্বভারতীর রথীন্দ্র অতিথি গৃহে প্রায় ২ ঘন্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ সুভাষ দত্ত, উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত, কর্ম সচিব অমিত হাজরা, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসক পি মোহন গান্ধী, এছাড়া ছিলেন সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী ও অন্যান্যরা। বৈঠক শেষে উপাচার্য স্বপন কুমার দত্ত জানান সবদিক বিবেচনা করে ছদিন মেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাতদিনের দিন মেলা তুলে দেওয়া হবে। জেলাশাসক জানিয়েছেন মেলা তুলে দেওয়ার জন্য যা যা সাহায্য লাগবে প্রশাসনিক ভাবে করবেন ও রাজনৈতিক ভাবে যা যা সাহায্য লাগবে তা সভাধিপতি করবেন। এই সিদ্ধান্ত আমরা পরবর্তী শুনানিতে যৌথভাবে জানাবো। তিন সদস্যের একটি অবজারভার কমিটি তৈরি হয়েছে মেলা পরিচালনার জন্য।
তথ্যঃ সৌমেন্দু দে।
[uam_ad id=”3726″]

Comments