Home » জেলার খবর » স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া থেকে বোমাবাজি

স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া থেকে বোমাবাজি

 

বাপের বাড়ি বনাম শ্বশুরবাড়ির লড়াইয়ে ফের উত্তাল নানুরের চণ্ডীপুর গ্রাম। শনিবার সকাল থেকে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। গোটা গ্রাম জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ।পরে বোলপুর থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিন স্থানীয় সুত্রের জানা গেছে, একটি পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজি হয়। এই গ্রামেরই বাসিন্দা সেখ হোসেনের মেয়ের সঙ্গে হাসান মোল্লার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। শনিবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। এদিকে এই হাসান মোল্লা কাজল গোষ্ঠির বলে পরিচিত। সে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামছাড়া ছিল। কিছুদিন আগেই ফের গ্রামে ফেরে। স্বামী-স্ত্রীর অশান্তির মধ্যে সেখ হোসেন ও হাসান মোল্লা যোগ দেওয়ার ফলে পারিবারিক অশান্তি ,রাজনৈতিক অশান্তির চেহারা নেয়। চলে গোটা গ্রাম জুড়ে বোমাবাজি। ফের প্রাকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। বোলপুর থেকে এস ডি পি ও অম্লান কুসুম ঘোষের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গেলে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায় নি। মুখে এলাকার বা জেলার তৃনমূল নেতারা কিছু না প্রকাশ করলেও নানুরের এই তৃনমূলের গোষ্টি কোন্দল নিয়ে বিতশ্রুদ্ধ সব পক্ষ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বীরভূমের প্রশাসনিক বৈঠকে রীতি মতো হুমকি দিয়ে বলে দিয়েছিলেন এবার কাজল ঝামেলা করলে ওকে ছাড়বে না পুলিশ। ওকে পুলিশ খুজছে। কিন্তু প্রশ্ন ফের সেই একই রাস্তা অনুসরণ করছে। তৃনমূল করলেই কি ছাড় পাওয়া যাবে? ফের এদিন তৃণমূলের বিবাদমান দুই (কাজল-গদাই) গোষ্ঠীর মধ্যে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। উত্তাল হয়ে ওঠে নানুরের চণ্ডীপুর গ্রাম। ২০১১সালে সুচপুর গ্রামের ১১জন ক্ষেত মজুরের নৃশংস খুনের পর দেশের তথা রাজ্যের রাজনৈতিক সংঘর্ষের তালিকায় নানুরের নাম উঠে আসে। রাজ্যে পালা বদলের পর, শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে অনেকে মারা গিয়েছেন। স্থানীয়ভাবে বা জেলা ও রাজ্য স্তরে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাবার চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। শেষ মেশ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হুমকির পরও ফের অশান্তি হল দুই পক্ষের মধ্যে। চলতি বছরের ২২মে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বোলপুরে প্রশাসনিক সভার মাঝে কেতুগ্রামের বিধায়ক ও কাজল সেখের দাদা শেখ শাহনাওয়াজ কে সর্তক করে বলেন , ‘কাজল কে বলে দিও যেন সে ভালভাবে থাকে ,কোনও অশান্তি না করে। এবার অশান্তি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি জানি কাজল কোথায় আছে। ওকে আমাদের পুলিশ খুঁজছে। ওকে ভালভাবে থাকতে বল।” একই ভাবে নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরাকেও সর্তক করে দেন তিনি। কিন্তু তাঁর সর্তক বার্তা যে কাজ করেনি তার প্রমাণ ফের মিলল শনিবারের নানুর থানার চণ্ডীপুর গ্রামের বোমাবাজির ঘটনায়।
তথ্যঃ মায়া সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments