Home » জেলার খবর » লোবাতে জমির মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে শুরু করলো ডিভিসি

লোবাতে জমির মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে শুরু করলো ডিভিসি

বীরভূম ২ আগস্টঃ- খোলামুখ কয়লা খনির জন্য বীরভুমের লোবাতে জমির মালিকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে শুরু করলো ডিভিসি।বুধবার কয়েক সদ্যসের ডিভিসি প্রতিনিধি আসেন। প্রথমে অনেকেই লোবায় কয়লা খনি নিয়ে অরাজি থাকলেও এখন কয়লা খনির জন্য জমি দিতে রাজি হয়েছেন সিংহ ভাগ জমির মালিক। পরে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ফের খনির কাজ শুরু করার আবেদন করেন এলাকাবাসীরা। বিগত মাসে লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটি, ডিভিসি ও জেলা প্রশাসন কে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে হয়। সেখানে জেলা পরিষদের সভাধিপতির পৌরহিত্যে একটি কমিটি হয় পরবর্তি কাজ কর্ম পরিচালনার জন্য। তখন ঠিক হয় বিশ্বভারতী বিশ্ব বিদ্যালয় কে দিয়ে এলাকার সামাজিক নিরীক্ষণ করানো হবে। তার পর জমি অধিগ্রহনের কাজ করা হবে। সেই কাজ এদিন থেকে শুরু হলো বলে জানা গিয়েছে।

বুধবার ডিভিসি প্রতিনিধি দল লোবা এলাকায় যায়। সেখানে গিয়ে তারা জমির মালিকদের সাথে কথা বলেন এবং জমির কাগজ পত্র ক্ষতিয়ে দেখেন। এদিন ডিভিসি প্রতিনিধি দলের তরফে জানা গিয়েছে, এর আগেই জমির জরিপ করা হয়ে গেছে। লোবা এলাকায় মোট ১১টি মৌজা জুড়ে এই কয়লা খনি হবে। এর জন্য যেসব জমি দাতারা জমি দেবেন তারা যাতে সঠিক ভাবে জমির ক্ষতিপূরনের টাকা পান সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর জন্য সরকারি ভাবে যে সব কাগজ পত্র লাগে সেগুলি জমি দাতাদের নিজেদের নামে রয়েছে কিনা সেই সব কাগজ দেখা হচ্ছে। এতে ক্ষতিপূরন দেওয়ার সময় সঠিক মানুষের হাতে টাকা পৌছাবে। এদিনে ডিভিসির তরফে এদিন গ্রামবাসীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশংসা করা হয়েছে। তাদের দাবী গ্রামবাসীরা তাদের সাথে জমির কাগজ দেখানো নিয়ে সহযোগিতা করেছেন। বুধবার লোবার ২টি মৌজা খোজ কমল পুর এবং কোটাতে জমির মালিকদের নথি খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হল। এবার প্রতিদিনই সেখানে মৌজা গুলিতে নথি দেখবে ডিভিসি। ডিভিসির এক কর্তা বদিউজ্জামান জানিয়েছেন, “গ্রামবাসীরা আমাদের খুবই সাহায্য করেছেন। আমরা চায় সঠিক জমির মালিক জমির ক্ষতিপূরন পাক। তাই আমরা চাষিদের সাথে কথা বলেছি এবং তাদের সঠিক কাগজ আছে কিনা সেটা দেখে নিচ্ছি। সেই সঙ্গে না থাকলে আর কি কি কাগজের প্রয়োজন সেগুলোও তাদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” এলাকার এক চাষি মুন্তাজ হোসেন বলেন, “আমরা খুব খুশি এখানে এবার খনি হবে। আমরা জমি দেবো। আমাদের দাবী যেন আমাদের একটা কাজও দেওয়া হয়।” লোবা কৃষি জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক জয়দীপ মজুমদার বলেন, “আমরা চায় ডিভিসি যেভাবে এগোতে চায়ছে সেই ভাবেই সচ্ছ ভাবে যেন কাজটা হয়। কোনও দালাল বা ফোরেদের যেন তারা গুরুত্ব না দেন। সমস্যা হলে আমাদের সাথে সরাসরি কথা বলুক তারা। আমরা সাহায্য করব। লোবা কয়লা খনি কমিটির প্রধান সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, এদিন থেকেই ফের কয়লা উত্তোলনের প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ শুরু হল। সামাজিক নিরীক্ষণের রিপোর্ট শেষ হওয়ার পর অধিগ্রহনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ছবি : লাল্টু মুখার্জী
তথ্যঃ কৌশিক সালুই

[uam_ad id=”3726″]

Comments