Home » জেলার খবর » সাত পাকের বন্ধন অটুট থাকলো জীবনের শেষ সময়েও

সাত পাকের বন্ধন অটুট থাকলো জীবনের শেষ সময়েও

সাত পাকের বন্ধন অটুট থাকলো জীবনের শেষ সময়েও। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন বীরভূমের সিউড়ির ঘোষ দম্পতি। বৃহস্পতিবার সকালে স্ত্রী সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মারা যান। আর ঠিক কিছু সময়ের ব্যবধানে বাড়িতে থাকা অসুস্থ স্বামীও শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শেষ হল তাঁদের অর্ধ শতাব্দীর বেশী দাম্পত্য জীবন।
সিউড়ির অরবিন্দপল্লীর বর্তমান বাসিন্দা নারায়ন ঘোষ (৭৮) এবং তার স্ত্রী মালতি ঘোষ(৭০)। এদিন সকাল ৭ তার সময় সিউড়ি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মালতী দেবী। তিনি গত ১৫ দিন ধরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সিউড়ির বাড়িতে তার মৃত্যুর সংবাদ আসার পর পরিবারের লোকজন শোকাগ্রস্থ হয়ে পরেন সেই সময় তারা দেখেন যে তার অসুস্থ স্বামীও মারা গিয়েছেন। ওই দম্পত্তির এক মাত্র ছেলে শিক্ষক সন্তোষ ঘোষ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী বৌমা রিনা ঘোষ বলেন, আমার শ্বশুর ৫ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন। উনার সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল। তার পর থেকেই শ্বাশুরি তার সেবা শুশ্রসা করতেন। গত দিন পনেরো আগে স্বাসুরি চরম অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। এদিন সকালে তিনি মারা যান। তার মারা যাওয়ার খবর বাড়িতে আসলে আমারা সবাই শোকগ্রস্থ হয়ে পরি। শ্বশুর মশায় শ্বাসুরী মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের আলোচনার সময় বুঝতে পারেন ও মারা যান। বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে তাঁদের দুই জনের এক সঙ্গে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শ্বাসুরি মায়ের ১৫ বছর বয়সে তাঁদের বিয়ে হয় এবং আমার বিয়ের পর থেকে তাঁদের দুই জনকে এক বারের জন্য আলাদা থাকতেও দেখিনি। তাই এক জনের মৃত্যু আর জনকেও কাছে টেনে নিলো।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments