Home » Wall of Help » ইলামবাজার জঙ্গল মধ্যস্ত গ্রামে “Wall of Help ” এর বিতরণ শিবির

ইলামবাজার জঙ্গল মধ্যস্ত গ্রামে “Wall of Help ” এর বিতরণ শিবির

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি মতোই ,গতকাল ২২ শে জুলাই,আমরা “বীরভূম লাল মাটির দেশ” এর পক্ষ থেকে “Wall of Help ” এ সংগৃহিত সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে গেছিলাম ইলামবাজার জঙ্গলের মাঝে খয়ের ডাঙ্গা, জাম্বুনি,দ্বারন্দা, কুরান্ডিল এর মত ছোট ছোট আদিবাসী গ্রাম গুলোর মানুষের কাছে।
জঙ্গলের মাঝে আদিবাসী গ্রাম বলতেই আমাদের চোখের সামনে প্রথমেই হয়তো ভেসে ওঠে আরণ্যকের রাজা দব্রু পান্না, কিংবা ভানুমতির কথা।ভেসে ওঠে ছোট ছোট পর্নকুটির,লাল মাটির পথ, মাদলের ছন্দ, বাঁশির সাঁওতালি সুর।কিন্তু প্রশস্ত রাজপথ ছেড়ে জঙ্গলের রাস্তায় প্রবেশ করতেই যখন মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো, আমাদের শহুরে রোমান্টিসিজম তখন প্রথম ধাক্কা খেল।জলকাদার পিচ্ছিল, দুর্গম পথে দুলতে দুলতে যতই জঙ্গলের গভীরে ঢুকতে থাকলাম, ততই আমাদের মন কে আচ্ছন্ন করে একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিতে থাকলো–এখানেও মানুষ থাকে?
যাই হোক, আকাশ ভাঙ্গা বৃষ্টি আর দুর্গম কাদার বাধা পেরিয়ে যখন অবশেষে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছানো গেল, ততক্ষনে কবিগুরুর ভাষা ধার করে বলতে হয় “শরীরের রসরক্ত দধী হইয়া গেছে”।
কিন্তু, সব ক্লান্তি ভুলিয়ে দিলো বুধনি, সরস্বতী,সুখদি, সুনীল,বিশুর মতো কচিকাঁচা গুলোর অনাবিল হাসি।ওদের হাতে আমাদের সংগৃহিত উপহার গুলো তুলে দিতেই, সেই হাসি যেন শ্রাবনের মেঘের ফাঁকে রামধনুর মতো ঝলমল করে উঠলো।আমরাও হইহই করে মেতে উঠলাম এই নতুন বন্ধুদের সাথে।মাঝে মাঝে ছোট ছোট অনুযোগ–

– দাদা, আমার জামা টো ছুটু হোছে।
-আমাকে জিঙ্গিসের প্যান দাও।
মুহূর্তেই আমরা যেন ওদের কত কাছের হয়ে গেছি!এই আপন করে নেওয়াটাই আমাদের কাছে পরম প্রাপ্তি।তাই ফিরে আসার আগে আমরা মনে মনে বুধনি,গোবিন্দ, সুখদিদের কাছে অঙ্গীকার করলাম-
তোদের কাছে আবার ফিরে আসবো, বার বার ফিরে আসবো।আজ রমেশ দা আমাদের মাঝে থাকলে, এই কথাটাই হয়তো শিশুগুলোর গলা জড়িয়ে চিৎকার করে বলতেন।

শিবিরে যে সব জিনিসপত্র দেওয়া হলো –

৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেদের প্যান্ট -১৩০ পিস

৭ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেদের জামা -১৭০ পিস

৭ থেকে ১২ বছর বয়সী মেয়েদের  জামা -৩০০ পিস

ছোট বাচ্চা দের জামা প্যান্ট-১৮০ পিস

পুরুষের জামা -৪৬০ পিস

পুরুষের প্যান্ট -১১০ পিস

শাড়ি – ৭০ পিস

চুড়িদার ও প্যান্ট -২৭০ পিস

ব্লাউস – ৪০ পিস

ওড়না -৫০ পিস

জুতো -২৫ জোড়া

 

   

 

 

 

Comments