বীরভূমের দুবরাজপুরে রয়েছে মামাভাগ্নে পাহাড় ।ঠিক তার পাশেই রয়েছে পাহাড়েশ্বর শিব মন্দির ।সংকটমোচন মন্দির । শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য পৌরসভার উদ্যোগে হয়েছে পার্ক । তবে এসবের মধ্যে যেটা বোধহয় দেখা হয়নি তা হল স্বয়ং হনুমানজীর কর্মকাণ্ড ।
আজ থেকে প্রায় ছয় সাত বছর আগে দুবরাজপুরের পশুপ্রেমী এক ব্যাক্তি( নাম জানাতে অনিচ্ছুক ) কিছু অভুক্ত বানরকে এখানে দেখে কিছু খাবার কিনে দেয় । সেই শুরু । এরপর যতদিন পেরিয়েছে একদিকে এই বানরের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিক তেমনই এদের নিয়ে মানুষের উৎসাহও বেড়েছে । সকাল সকাল শহর ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়লেও বিকেল পাঁচটা বাজলেই বানরগণ এই মন্দির চত্বরে হাজির । প্রথমে কিছুক্ষণ খেলা যেমন : মন্দিরের ঘন্টা বাজানো , সংকটমোচনজীর মূর্তির দিকে তাকিয়ে নানান অঙ্গভঙ্গি করা । তারপর সেই জনৈক পশুপ্রেমী খাবার নিয়ে এলেই বানরেরাও নিজেদের সন্তান পরিবার নিয়ে হাজির ।একেক বানরের আবার এক এক নাম – মাধুরী , অমর আরও কতকিছু । নাম ধরে ধরে খাবার দেবার পর বানরেরা সেই খাবার খেয়ে সব চুপটি করে নিজের নিজের গন্তব্যে । অবশ্য গন্তব্য বলতে ওখানেরই পাথরের গুহা । তাদের এই কর্মকাণ্ডে পর্যটকরা অবাক ।পুরোহিতমশাই জানালেন -” এদের কোনদিনও অভুক্ত রাখা হয় না । কেও কোনদিন খাবার দিতে না পারলে আমরা নিজেদের উদ্যোগে খাবার দিই ।” মন্দির চত্বরের আনাচে কানাচে এদের জন্য রয়েছে ছোটবড় প্রায় দশটি জলের পাত্র । জানা গেল ,বেড়াতে আসা নতুন পর্যটকরা খানিকটা ভয় খেলেও এরা আজ পর্যন্ত কারো ক্ষতি করেনি । বরং এরা পর্যটকদের মনোরঞ্জনের এবং আকর্ষণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম।
ভিডিও ও তথ্যঃ গৌড় চক্রবর্তী