“বীরভূম লাল মাটির দেশ” কোনো প্রথাগত NGO নয়, বরং সম্পূর্ন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত,অরাজনৈতিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।ফেসবুকে একটি পেজ হিসেবে আমাদের পথ চলা শুরু।তখন বীরভূমের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরাই আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিলো।কিন্তু পরবর্তী কালে ,মানুষের মধ্যে পেজটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়তে থাকলে, আমাদের কাজের আঙ্গিকে কিছুটা পরিবর্তন আসে।এই সমাজ থেকে প্রতিনিয়ত লালিত হওয়ার প্রতিদানে সমাজকেও কিছু ফিরিয়ে দেয়ার দায়বদ্ধতাকে মাথায় রেখে, আমরা জনসেবামূলক কাজে উদ্যোগী হই।বিশেষ করে দুঃস্থ ,মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এবং মরণাপন্ন দরিদ্র রোগীদের আর্থিক সাহায্যের লক্ষ্যে , জনগণের দানে আমাদের যাত্রা শুরু হয়।
ইতিমধ্যে,বীরভূম জেলার রাজনগর ব্লকের অন্তর্গত আগুইবাঁদি নামের ছোট্ট একটি আদিবাসী গ্রামে, বিধ্বংসী অগ্নিকান্ডে সমগ্র গ্রামটি ধ্বংস হয়ে গেলে, সেই ঘটনা আমাদের গভীর ভাবে নাড়া দেয়।তখনই বীরভূম লাল মাটির দেশ পরিকল্পনা করে,আমার আপনার বাড়িতে যে অব্যবহৃত বা অতিরিক্ত পোশাক বা দৈনন্দিন জীবনের নিত্যপ্রয়োজনীয় আরো হাজারো জিনিস অনাদরে ,আবর্জনা হয়ে পড়ে আছে,সেগুলোই হয়তো কোনও মানুষের কাছে সম্পদ হতে পারে।কাজেই সেই সব জিনিস সংগ্রহ করে,আগুইবাঁদির নিঃস্ব মানুষগুলোর হাতে তুলে দিতে পারলে, হয়তো তাঁদের জীবন সংগ্রামে কিছুটা সুরাহা হবে।সেই লক্ষ্যে বীরভূম জেলার বিভিন্ন প্রান্তের ,বহু শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ভালোবাসার দানে সমৃদ্ধ হয়ে, বিপুল পরিমান পোশাক-আশাক, বাসনপত্র, খাদ্য সামগ্রী ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমরা আগুইবাঁদির অধিবাসীদের হাতে তুলে দিতে সমর্থ হই।সেই সঙ্গে প্রত্যেক অধিবাসীর ডাক্তারি পরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়।
এই ঘটনা বীরভূম জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং তৎকালীন জেলাশাসক শ্রী পি.মোহন. গান্ধী( আই. এ.এস) মহাশয় ও অন্যান্য পদস্থ আধিকারিক বৃন্দ আমাদের নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করেন।