বীরভূম ৪ জুলাইঃ- জেলা জুড়ে বিভিন্ন বালিঘাটের অশান্তির জেরে বালিঘাট গুলিকে সাময়িক বন্ধের নির্দেশ বীরভূম জেলা প্রশাসনের। ই-টেন্ডারে পাওয়া বালিঘাট গুলির কাগজ পত্র জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বালিঘাটের মালিক গুলিকে। প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে কাগজ পত্র খতিয়ে দেখে বালিঘাটের সীমানা নির্ধারণ করার পর চালু হতে পারে। এই বিষয়ে সোমবার জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার ভিডিও কনফারেন্সে জেলার সমস্ত বিডিও,ওসি ও বিএলআরও দের নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
বীরভূমের অজয়, দ্বারকা, ময়ূরাক্ষী এবং ব্রাম্ভনী নদীর বালি তোলার জন্য ২৬৬ টি ঘাটের ই-টেন্ডারে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ই টেন্ডারের মাধ্যমে অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বালিঘাটের সীমানা ও রাস্তা ও শ্রমিকদের কাজ করাকে নিয়ে বারবার উত্যপ্ত হয়েছে প্রথম থেকেই। একের পর এক বালি ঘাটে গণ্ডগোল শুরু হয়। এর সঙ্গে আরো একটা সমস্যা ছিল ওভার লোডিং নিয়ে বালি বহন করা। সেই সমস্ত ঘটনার রাশ টানতে সাময়িক বালি ঘাট গুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এলাকার বিডিও, থানার ওসি ও ভুমি রাজস্ব আধিকারিকদের নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। টেন্ডার পাওয়া বালিঘাট গুলির মালিকদের তাঁদের কাগজ পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই আধিকারিকদের কাছে। সেখানে তাঁদের বালি ঘাটের এলাকা নির্ধারন করতে পিলার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘাট পাওয়া বালিঘাট মালিকেরা একে অপরের দিকে তার এলাকায় বালি তুলে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে। সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তাঁদের এলাকা নির্ধারণের জন্য পিলার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা ভূমি রাজস্ব দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে জুন মাস পর্যন্ত ৮০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে,যা এখনো পর্যন্ত সর্বকালীন রেকর্ড বলে জানা গিয়েছে। ২৬৬ টি ঘাটের মধ্যে ১৮ টি দীর্ঘ মেয়াদী ও ৪ টি স্বল্প মেয়াদী মালিকানায় চলছে বালিঘাট। বীরভূম জেলার টেন্ডার পাওয়া ঘাট মালিক মদন মোহন মন্ডল, দেবব্রত মন্ডল, শঙ্কর সিং, হুমায়ুন শেখরা বলেন, প্রশাসনের নির্দেশিকা পাওয়ার পর আমরা বালির তোলার কাজ বন্ধ রেখেছি। আমরা টেন্ডারের কাগজ পত্র জমা করেছি প্রশাসনের কাছে। এর সঙ্গে আমাদের ঘাটের সীমানা নির্ধারণের জন্য পিলার ও দেওয়ার কাজ করা হচ্ছে’’। জেলা ভুমি ও ভুমি রাজস্ব আধিকারিক অতিরিক্ত জেলা শাসক নীলকমল বিশ্বাস বলেন, জেলার সমস্ত বালি ঘাট বন্ধের জন্য সাময়িক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। টেন্ডার পাওয়া মালিকদের কাগজপত্র জমা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সরকারী নির্দেশিকা যে সমস্ত ঘাট মালিকেরা মানবে তাঁদের কে বালি ঘাট থেকে বালি তোলার অনুমতি দেওয়া হবে। কমিটির কাছে কাগজ পত্র জমা করতে বলা হয়েছে ’’।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]