গোটা জেলার রাম নবমীর ভিডিও
এ এক ব্যাতিক্রমি রাম নবমী। যেখানে নেই কোনো রাজনীতি, নেই জাতি, বর্ণ ধর্মের ভেদাভেদ। পঞ্চগ্রামের মানুষ জন হাত বাড়িয়ে দেয় এই রাম নবমী উদযাপন করতে। প্রায় সাড়ে তিন দশক ধরে চলে আসছে সেই পরম্পরা। অন্য সময়ে রাজনীতির কচকচানি থাকলেও এই উৎসব সবাই কে এক করে দেয়। এ যেনো এক মিলন মেলা হয়ে ওঠে। সারা রাজ্যে যেখানে এই উৎসব পালনে রাজনীতির মেরুকরন হয়েছে। কার মিছিলে কতো বেশি লোক সেই শক্তি প্রদর্শন রাজনৈতিক দল গুলির। আর সে সবের বাইরে এই রাম নবমী।
বীরভূমের মহম্মদ বাজার থানার ডেউচা গ্রাম। গ্রামের সালুই পাড়াতে রয়েছে এক প্রাচীন রামের মন্দির। যে মন্দিরকে ঘিরে সাত দিনের রাম নবমী উৎসব হয়। প্রায় ৭৬ বছর আগে এই বর্তমান মন্দিরটি তৈরী করেন সীতারাম দাস মোহান্ত নামে ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। আগে সেখানে তালপাতার কুঠিরে সেই বিগ্রহ থাকতো। যেটা কয়েকশো বছরের আগে হয়েছিল বলে অনুমান। সেই মন্দির কে ঘিরে রাম নবমী উৎসব। এই রাম নবমীর দিন ডেউচা গ্রামের পার্শবর্তী পঞ্চগ্রাম অর্থাৎ রাইপুর,রামপুর, মহম্মদ বাজার, নিশ্চিন্তপুর এবং ডানজোনা-বাগলপুর প্রভৃতি গ্রামের ব্রাম্ভন দের সহ গ্রামের লোকদের পাত পেরে প্রসাদ খাওয়ানো হয়। যে রীতি কয়েক দশক ধরে চলে আসেছ। আর এই উৎসব উদযাপনে শুধু মাত্র হিন্দুরা নন অর্থ সাহায্য করে হাত বাড়িয়ে দেন এলাকার মুসলিমরাও। নেই এখানে রাজনীতির ছোঁয়া। এলাকার বিজেপি, তৃনমূল ও সিপিএমের সক্রিয় কর্মীরা এক হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উৎসবের সাতদিন দিন রাত এক করে কাজ করে উৎসব কে সাফল্য মন্ডিত করে তোলে। আর উৎসবের শেষ দিনে এলাকার প্রায় হাজার বিশেক মানুষ কে খিচুরী খাওয়ানো হয়। যা ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে খায়। ডেউচা রাম জিউ মন্দির ট্রাষ্ট কমিটির সম্পাদক মৃনাল কান্তি সালুই বলেন, আমাদের রাম নবমী উৎসবে নেই কোনো ভেদাভেদ। এলাকার সকলে এই উৎসবে সামিল হয়।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই