২৯ জুলাইঃ- বৃষ্টি বন্ধ হতেই বীরভূম জেলাতে শুরু হয়েছে জ্বর। ইতিমধ্যেই কয়েক জন ডেঙ্গীতে আক্রান্ত। শনিবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এর নেতৃত্বে একটি দল দুবরাজপুর শহরে জ্বর পরীক্ষা করে তাঁদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করছে। মশা মাড়তে ফগিং করাও শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। সিউড়ি সদর হাসপাতালে জ্বরে চিকিৎসাধীন কয়েক জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে।
বীরভূমের দুবরাজপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইসলামপুর এলাকাতে প্রথম ডেঙ্গী আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। কবিতা খাতুন নামে এক কিশোরী সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ব্যাপক ভাবে জ্বরের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।সেই জ্বর ডেঙ্গী না অন্য কিছু তা মোকাবিলা করতে নেমে পড়ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রহ্লাদ অধিকারী, দুবরাজপুর পুর প্রধান পীযুষ পান্ডে সহ স্বাস্থ্য দফতরের দল ইসলাম পুর এলাকায় গিয়ে মানুষকে জ্বর ও ডেঙ্গী প্রতিরোধে তাঁদের মকি করনিয় সেই বিষয়ে সচেতন করেন। এর সঙ্গে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রায় ১২০ জন জ্বরে আক্রান্ত পাওয়া গিয়েছে ও তাঁদের রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের আক্রান্তকে সিউড়ি হাসপাতালে ডেঙ্গী নিরূপণে ম্যাক এ্যলাইজা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুবরাজপুর গ্রামীন হাসপাতালে ২৫ জন জ্বরে চিকিৎসাধীন। তাদের রক্তও পরীক্ষা করা হচ্ছে। সিউড় সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেন, হাসপাতালে জ্বরে চিকিৎসাধীন ১২ জন রোগীর ম্যাক এ্যলাইজা টেস্ট করা হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাছাড়াও নতুন করে আর ৬ জনের ডেঙ্গী আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। সকলেই সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি বলেন, দুবরাজপুর শহরে যেহেতু প্রথমেই ডেঙ্গী রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এবং এখন জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যাও প্রচুর বাড়তে তাই আমরা সতর্কতা হিসাবে এলাকায় গিয়ে মানুষ কে সচেতন করেছি ও এদিন ফগিং করা হয়ছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির করে জ্বর ও রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে।
তথ্যঃ মায়া সালুই
[uam_ad id=”3726″]