বীরভূম ১১ জুলাইঃ- ছাত্রাবাস তৈরী হয়ে গিয়েছে দুই বছর আগেই। উদ্ভোধনও হয়ে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি এখনো। জেলা প্রশাসন ও স্কুল কর্তীপক্ষের দাবি আসবাব পত্র না থাকার জন্য শুরু করা যাচ্ছে না ছাত্রাবাস। ইতি মধ্যেই তারা দরবারও করেছে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের কাছে তহবিলের জন্য। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, বিষয়টি তার নজরে আসেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখে অবিলম্বে ছাত্রাবাসটি যাতে শুরু করা হয় তার ব্যবস্থা করবো।
বীরভূমের সদর শহর সিউড়িতে সরকারী বিদ্যালয় ছাত্রদের জন্য থাকেলও ছিল না কোন ছাত্রাবাস। শতাব্দী প্রাচীন সিউড়ি বেনীমাধব ইন্সটিটিউশন এ ২০১৫ সালে ১০০ জন ছাত্র থাকার পরিকাঠামো নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতর থেকে প্রায় ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যায় করে ওই স্কুল সংলগ্ন স্থানে ৮ টি রুম নিয়ে ছাত্রাবাসটি নির্মাণ হয়। রান্নাঘর সহ সম্পুর্ন পরিকাঠামো আছে এই ছাত্রাবাসের। সিউড়ি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাঁদমারী মাঠ থেকে ছাত্রাবাদের উদ্ভোধন করেন। কিন্তু প্রায় দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো শুরু হয়নি ছাত্রাবাস। ওই স্কুলের ছাত্র থেকে অভিভাবক সকলের আশঙ্কা অবিলম্বে শুরু না করা হলে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে নষ্ট হয়ে যাবে সরকারী সম্পত্তিটি। তাঁদের দাবি অবিলম্বে চালু করা হোক ছাত্রাবাসটি। এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪০০ জন ছাত্র পড়াশোনা করে। বহিরাগত ছাত্ররা রীতিমতো অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে এর ফলে। পরিকাঠামো থাকলেও আসবাব পত্র না থাকার জন্য থাকতে পারছেনা ছাত্ররা। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিশির দাস বৈরাগ্য বলেন, শুধু ঘর নির্মাণ হলে তো হবেনা আরো কিছু জিনিস সরকার আসবাদ পত্র, রান্নার বাসন সহ আরো অনেক কিছু। যার জন্য ১২ থেকে ১৩ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। আমাদের স্কুলের ফান্ড থেকে ওই পরিমান টাকা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়। আমরা জেলা শাসকের মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্সদে জানিয়েছি। বীরভূম জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, আসবাব পত্রের জন্য তহবিল চলে এলেই শুরু করা যাবে ছাত্রাবাস। এই বিষয়ে আমরা ওই দফতরকে জানিয়েছি।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]