বাপ্পাদিত্য পাল
দাবা খেলার আসর বসেছে দেশ জুড়ে
কেউ সরাসরি চাল দিচ্ছে , কেউ বা ‘সেকেন্ড’
অনেক খেলোয়াড়
বুদ্ধিজীবিরাও দাঁড়িয়ে আছেন আশে পাশে
আছেন সোস্যাল সাইটের কিছু ‘সমাজসেবী’,
নিউজ রিপোর্টার ।
গণতন্ত্রের বোর্ডে বসানো আছে ঘুঁটি
নীরবেই খেলা চলছে , ঘোড়ার আড়াই পা-এও
আওয়াজ ওঠে না ।
শুধু যখন দু একটা ঘুঁটি খাওয়া যাচ্ছে
তখনই লাফালাফি, চিৎকার, বিদ্রোহ
একটু উত্তেজনা
এক দল অন্য দলকে গালি দিচ্ছে
ক্যামেরার ফ্ল্যাশ , চ্যানেলে চ্যানেলে তখন
বুদ্ধিজীবির ভিড়
ঘরের মধ্যেই মিটিং ,মিছিল, হাতনাড়া
ফেসবুক দুখি , শোকের ঠেলায় বুক পুড়ছে
অনেক মোমবাতির
এসব অবশ্য থিতিয়ে পড়ছে একটু বাদেই
ততক্ষণে মরা ঘুঁটি সরিয়ে রাখা হয়েছে
আবার শুরু খেলা
দাবাড়ুদের নিজেদের মধ্যে একটু পরামর্শ
চাপা গলায় ফিসফিস
পরের চালের পালা
আসলে ঘুঁটি মারা গেলে যে সিন গুলো হচ্ছে
সেগুলো না থাকলে খেলা টা ম্যাড়মেড়ে লাগে
ওসব সাজান বিরোধ
এমনিতে দাবাড়ুরা সবাই পরস্পর বন্ধু
সবার হাতেই গ্লাস , আর তাতে ঢালা
একই বোতলের মদ !
ঘুঁটি গুলোরও জাত একটাই – প্লাস্টিক
তবে ..
কেউ সাদা, কেউ কালো, কেউ এক, কেউ
আড়াই
এটুকুই তফাত
এই ভেদটুকুই খেলাটার প্রাণ
বুদ্ধির ছোঁয়াটাও সেখানেই
প্রকৃত বাজিমাত !