আগামি ২৪ আগস্ট থেকে ২৯ শে আগস্ট পর্যন্ত জেলা জুড়ে ফাইলেরিয়া দুরীকরন কর্মসুচীতে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ খাওয়ানো হবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে।
বিগত এক মাস ধরে ডেঙ্গী রোগের প্রকোপ অব্যাহত বীরভূম জেলাতে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে জেলার বিভিন্ন ডেঙ্গী প্রভাবিত এলাকায় সচেতনতা কর্মসুচীও চলছে নিয়মিত। কিন্তু এর মধ্যে উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গী আক্রান্তের সংখ্যা। দুবরাজপুর শহরের এর সংখ্যা ভয়ঙ্কর ভাবে বেড়েছে। এর জেরে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর ও পুরসভা। তারা নিয়মিত দুবরাজপুর শহর জুড়ে অব্যবহৃত জমা জল, নর্দমা, ঝোপ জঙ্গল এবং ময়লা পরিষ্কার করেই চলেছে। তবুও দুবরাজপুর শহরে মানুষের অজ্ঞতার কারনে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গী আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
অন্যদিকে মশা বাহিত অন্য এক রোগ ফাইলেরিয়ার নিয়ন্ত্রনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ওষুধ খাওয়ানোর কর্মসুচী গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলা জুড়ে এখনো পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ ফাইলেরিয়াতে আক্রান্ত হবে জানা গিয়েছে। বিগত বছরে জেলার ৮৫ শতাংশ মানুষ কে ফাইলেরিয়ার ওষুধ অ্যালপেন্ডাসাল এবং ডিইসি খাওয়ানো হয়েছিল। এবার জেলার ৩০ লক্ষ মানুষের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা, ২ বছরের নিচের বয়সের শিশু, অসুস্থ অবং অতি বৃদ্ধ ও বৃদ্ধাদের বাদ দিয়ে সকলকে ওই ওষুধ খাওনোর লক্ষ মাত্রা রাখা হয়েছে। শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই কর্মসুচীর কথা ঘোষণা করেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শকুন্তলা সরকার। জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, সাধারন মানুষকে এই ফাইলেরিয়া নিয়ন্ত্রন কর্মসুচীতে অংশগ্রহন করতে হবে কোন ভয়ভীতি ছাড়া। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি বলেন, ডেঙ্গী রোগীর সংখ্যা বাড়লেও তার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে যায়নি। আমরা আক্রান্ত এলাকায় নিয়মিত পরিদর্শন করছি। আর এই রোগ নির্মূল করতে গেলে সাধারন মানুষকে সচেতন হতে হবে।
ভিডিও ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]