বীরভূম ২০ জুলাইঃ- শ্রেনী কক্ষের সমস্যায় বীরভূমের হেতমপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এর সঙ্গে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য কোন ঘর না থাকায় বৃষ্টির সময় সমস্যায় ছাত্রীরা। অবিলম্বে স্কুল কর্তীপক্ষের দাবি তাঁদের সমস্যার স্থায়ী সমাধান হোক।
দুবরাজপুরের হেতমপুর রাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। স্থানীয় রাজ পরিবারের জমিতে ১৯৬৫ সালে এই বিদ্যালয়টি গড়ে ওঠে। বর্তমানে ৩৯০ জন ছাত্রী এবং ৮ জন শিক্ষিকা আছেন। কিন্তু ছাত্রীর তুলনায় শ্রেণী কক্ষের সংখ্যা কম হওয়ার সমস্যা পঠন পাঠনে। পুরাতন একতলা বিল্ডিংটিতে ৩ টি শ্রেণী কক্ষ এবং ১ টি হল ঘর আছে। তার মধ্যে যেখানে ষষ্ঠ শ্রেনীর ক্লাস হতো সেখানে জল পরে এবং দশম শ্রেনীর ঘরে সিলিং এর ঢালায় খসে পড়ছে। ওই দুটি ক্লাসকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর নতুন বিল্ডিং এ ৬ টি শ্রেণী কক্ষের মধ্যে ১ টি কম্পিউটার এবং ১ টি অন্য কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এখন নতুন ও পুরাতন বিল্ডিং এ পঞ্চম থেকে দশম শ্রেনীর ক্লাস হচ্ছে এখন। বেশী ছাত্রী যে দিন উপস্থিত হয়ে যাচ্ছে সেদিন ক্লাসে বসার সমস্যায় পড়ছে তারা। এর সঙ্গে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্যও কোন ঘর নেই। অন্য সময় পড়ুয়ারা খোলা আকাশের নিচে খেলেও বৃষ্টি হলেই সমস্যায় পড়ছে। স্কুলের ভার প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা ঘোষ জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ও পরিচালন সমতির আগেই এই বিষয়ে প্রশাসনের উচ্চ স্তরে জানানো উচিৎ ছিল। পুরাতন বিল্ডিং এর দুটি কক্ষের অবস্থা খারাপ। তাই নতুন শ্রেণী কক্ষের প্রয়োজন। এর সঙ্গে মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য সেড অতি সত্বর করে দেওয়া হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সন্ধ্যা দাস বলেন, আমি ৩ মাস ধরে অসুস্থতার জন্য ছুটিতে আছি। স্কুলের বিল্ডিং এর বিষয়ে আগেই নজর দারি করা উচিত ছিল। কিন্তু স্কুলের পঠন পাঠন এবং প্রশাসনিক কাজ কর্ম করতে গিয়ে ওই বিষয়ে নজর দেওয়া হয়নি। এবার বিষয়টি নিয়ে উচ্চ স্তরে জানাবো। জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) রেজাউল হক বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে দেওয়া হয়নি। অতিসত্বর ওই স্কুল পরিদর্শন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যঃ মায়া সালুই
ছবি : নয়ন দাঁ
[uam_ad id=”3726″]