সকলকেই জানাই” মহালয়া”র প্রীতি ও শুভেচ্ছা।
সকলেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দে কাটান আগামী দিনগুলি।
নিজস্ব লেখা – কাবু মণ্ডল
এই দিনটির গুরুত্ব ছিল,
সব চাইতে বেশী
মেতে থাকতাম আমরা সবাই,
আট থেকে আশি।
রাতজাগা শিউলি ফুলের সুবাসে
জেগে যেতাম ভোরবেলা,
দাদুর পুরোনো ফিলিপ্স রেডিও ঘিরে,
বসে যেত পাড়া ,পড়শির মেলা।
ভক্তি জাগানো এক ঐশ্বরিক গলায়,
শুরু হত মহিষাসুর মর্দিনী
বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র বলে,
যাকে আমরা জানি।
শুনতাম কম, চেঁচাতাম বেশি,
বড়দের বকুনি খেতাম,
এক এক জন নিয়ম করে,
বোমা ফুটিয়ে দিতাম।
নানা রকমের শব্দ বাজিতে ,
পকেট থাকত ফুলে,
বুড়িমার, আর দুলাল চকোলেটের আওয়াজে,
সব দরজা ,কপাট যেত দুলে।
বারুদ মাখা হাতে, শিশির মাড়া পায়ে,
ছিল এক অদ্ভুত উন্মাদনা,
আজকে মন ভারী উদাস হয়,
সেই আনন্দের দিন ফিরে পাই না।
প্রতি বছর, এই দিনে হত,
ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা
হই হুল্লোড় আর দুস্টুমিতে,
কেটে যেত সারা বেলা।
স্নানের ,খাওয়ার সময় নিয়ে,
সেদিন ছিল ছাড়,
দলবেঁধে নদীতে সাঁতার কাটতে
দারুণ মজা হত সবার।
এ পাড়া, ও পাড়া ঘুরে বেড়াতাম,
সাধ্য ছিল না কারো ধরার।
ভাতের থালা এক নিমেষেই খালি হত,
খিদের চোটে বা ইচ্ছা বাইরে যাবার।
অনেক সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতাম,
মন্দির হয়ে ঘুরে,
মৃন্ময়ী মা তখন জীবন্ত হতো,
আমার কল্পনার রাজ্য জুড়ে।