নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর বিয়ে রুখতে এগিয়ে এলেন বীরভূমের মল্লারপুর গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রোজী রঞ্জনা মুর্মু। ছাত্রটি তাঁর নিজের স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আগামী বৃহস্পতিবার বিয়ে ঠিক হয়েছে পাশের গ্রামে অম্বা বাগানপাড়ায়। সেই খবর শুনতে পেয়ে শিক্ষিকা দেরি না করেই মল্লারপুর ব্লক আধিকারিকের সাথে যোগাযোগ করেন। তারপর বীরভূমের মল্লারপুরের ফতেপুর গ্রামে ওই নাবালিকার বাড়িতে যান তিনি, সাথে মল্লারপুর থানার পুলিশ ও জয়েন বিডিও।জয়েন বিডিও দেবজ্যোতি বড়াল ছাত্রীর মা বাবার কাছে লিখতো মুচলেকা নেন ও তাদের বোঝানো হয় ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিলে কি কি সমস্যা হতে পারে মেয়ের।মল্লারপুর থানার পুলিশ ও খুব তৎপরতার সাথে কাজ করছেন। এলাকায় সাব ইন্সপেক্টর জাহিদুল ইসলাম আইনত ভাবে পরিবারকে ও গ্রামের মানুষকে বোঝান ১৮ নিচে বিয়ে দিলে কি কি শাস্তি হতে পারে। গত কয়েকমাস ধরে বীরভূম জেলায় নাবালিকা বিয়ে রুখতে প্রশাসন সাময়িক ভাবে সক্ষম হলেও অভিভাবকদের সচেতন করা যাচ্ছে না সেই ছবি বারবার উঠে আসছে। মল্লারপুর গার্লস হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা রোজী রঞ্জনা মুর্মু জানান, প্রতিটা গ্রাম পঞ্চায়তে অভিভাবকদের নিয়ে সচেতনতামূলক কিছু না করলে এইভাবে আটকানো যাবে না, সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে মেয়ে মানে ‘আপদ’ না। আমাদের সমাজে মেয়ে মানেই বিরক্তিকর, অপ্রয়োজনীয় জীব। একটা মেয়ে জন্ম নিলে প্রথমে মা-দাদীরাই মাথায় হাত দেয়। বিয়ে দিতে হবে, শুধু শুধু টাকা খরচ। ছেলেরা সারাজীবন খেলতে পারে, মেয়েরা একটু বড় হলেই আর বাইরে বেরোবি না। পড়াশোনার কি দরকার? এই ব্যাপার গুলি মাথা থেকে বের না হলে বিয়ে আটকানো যাবে না।
ভিডিও ও তথ্যঃ অক্ষয় ধীবর
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]