এটা কোনও তীর্থক্ষেত্র নয়, কিন্তু জুতো খুলে ঢুকতে হচ্ছে। এমনই নিয়ম শুরু হল সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি বিল্ডিং চত্বরে। তবে যদি ভেবে থাকেন হাসপাতাল বিল্ডিং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য এই সিদ্ধান্ত, তাহলে ভুল ভাবছেন। এই নিয়ম শুধুমাত্র রোগী ও তার পরিবারের লোকেদের জন্য। এই নিয়ম কোনও ভাবেই চিকিৎসক, নার্স, হাসপাতাল কর্মীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
হাসপাতালে আসা রোগী বা রোগীর আত্মীয়দের জুতো রাখার নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করেছে সিউড়ি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখানেও ট্যুইস্ট রয়েছে। যদি ভাবেন, ভালই তো যদি কিছু জুতো হাসপাতালে কম ঢোকে তাতে তো আখেরে রোগীদেরই লাভ। কিন্তু এখানে আসলে লাভটা হচ্ছে হাসপাতালের। কারণ জুতো জোড়া পিছু নেওয়া হচ্ছে ২ টাকা করে। আর সেটিও একবার নয়, যদি আপনি প্রয়োজনে একাধিক বার বাইরে যান, ওষুধ কিনতে বা অন্য কাজে, ফিরে এসে ফের জুতো রাখেন, তবে ফের আপনাকে দিতে হবে ২ টাকা। আর এই পদ্ধতিতে দিনে কয়েক হাজার টাকা তুলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একদম প্রফেশনাল পদ্ধতিতে চালানো হচ্ছে এই জুতোর কারবার।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন এই ব্যবস্থা? যদি সত্যিই হাসপাতাল পরিষ্কার রাখার উদ্দেশ্য হয় তাহলে রোগীর জুতোর সঙ্গে চিকিৎসকের জুতোর তফাৎ করা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্নের কোনও উত্তর মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এটা আয়ের নতুন রাস্তা খুঁজে বের করল সিউড়ি সদর হাসপাতাল? সময়ে হয়তো এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই নতুন আইনে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বিশ্ববাংলা সংবাদ থেকে নেওয়া।