হলো নাকি আপনাদের পূজোর বাজার?
নাকি কর্তার মতোই একই অবস্থা?
নিজস্ব লেখা ঃ- কাবু মন্ডল
আর দিন বেশী নাই, মায়ের মর্ত্যে আসার,
তাইতো করতে হবে, পূজোর বাজার।
সখ করে জামা, কাপড় কেনা হয় না
যা আছে আলমারিতে, সবই চেনা।
তাই বুঝি এক রবিবার, যেতে হয় বাজার,
আগের রাত থেকেই আসতে থাকে দুশ্চিন্তা হাজার।
কেন যে আসে বছর বছর পুজোর বাজার?
একই ঠাকুর, সেই তো দূর্গা, কী দরকার নতুন কেনাকাটার?
সংসারে আছে নানা রকমের খরচ,
কাকে ছেড়ে, কাকে বলি,তাই মন খচ খচ।
তার উপর দাও, এলআইসি ‘র প্রিমিয়াম,
কতো আর বাঁচবে টাকা?থাকে মিনিমাম।
পুজোতে দিতে হবে একে, ওকে, তাকে
এই সব নিয়ে কর্তা থাকে ঘোর বিপাকে।
স্বামী সরকারি চাকুরে, বউ কী কম নেবে শুনি?
পুজোয় চাই ট্রেন্ডি শাড়ি, হরেক প্রসাধনী।
এক এক করে কেনা হয় সবার পছন্দের,
জুতো ,স্যান্ডেল, আরও কত কী, বায়না আছে ঢের।
অন্তিমলগ্নে লাইন আসে পরিবারের কর্তার,
গান্ধী ছাপ নোট বাড়ন্ত হয়েছে,
কী আর কিনবে আর?
হেঁসে বলে ,হবে বাজার, অনেক দেরি পুজোর,
সব শালায় দেড় গূণ দাম বাড়িয়েছে, এখন সবাই চোর।