Home » জেলার খবর » ভালো থাকুন মা, ভালো থাকুক সন্তান

ভালো থাকুন মা, ভালো থাকুক সন্তান

বীরভূম ১৪ জুনঃ- কোন পেশাদার শিল্পী নয় স্বাস্থ্য দফতরের সচেতনতা মুলক তথ্যচিত্রে অভিনয় করেছেন কর্মীরা। বীরভূমের সিউড়ির জেলা শাসক কার্যালয়ে বুধবার সেই তথ্যচিত্রের উদ্ভোধন হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রী আড়ি এবং তথ্যচিত্রের শিল্পী তথা স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা।
বীরভূম জেলার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ১৪ জন স্বাস্থ্য কর্মী অভিনীত তথ্য চিত্র ‘’ভালো থাকুন মা, ভালো থাকুক সন্তান’’ এর উদ্ভোধন হল এদিন। ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মীরা এই অভিনয় করেছেন। স্বাস্থ্য দফতরের কর্মী জল্পনা সরকার, সুপ্রীতি সরকার, চিন্ময় ঘোষ, কৌশিক মুখার্জি, প্রতিমা বড়াট সহ অন্যান্যরা অভিনয় করেছেন। ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী জল্পনা সরকার তাঁদের প্রসুতি মায়েদের নিয়ে সচেতনতা মুলক এক অনুষ্ঠানে তার নিজের হাতে লেখা নাটকের মঞ্চস্থ্য করেন, সেখানে অভিনয় করেছিলেন তার সহ কর্মীরা। সেই নাটক দেখে জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী তথ্যচিত্রের ভাবনার কথা জানান। তথ্যচিত্রের মূল ভাবনা হল, কম বয়সের ছেলে বা মেয়েদের বিয়ে ও পরে সন্তান হলে তাতে কি সমস্যা হয়। পাশাপাশি প্রসুতি মায়েদের সন্তান প্রসবের আগের পরিচর্চা, স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে সন্তান প্রসব হলে তার কি সুফল পাওয়া যায়। এই চিত্র নাট্যটিও লিখেছেন জল্পনা সরকার। তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে গ্রামের এক সংখ্যালঘু পরিবারের ১৮ বছর কম বয়সী মেয়ের সঙ্গে ২১ বছরের কম বয়সী ছেলের বিয়ে দেওয়া হয়েছে, পরে সেই মেয়েটির সন্তান সম্ভবা হলে সন্তান প্রসব করে বাড়িতেই হাতুড়ে চিকিৎসক ও দাইমা র কাছে। তখন সন্তান প্রসবের পর ওই মেয়েটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তাকে হাসপাতালে নয়ে যাওয়া হলে সেখানে সুস্থ্য হয়। পাশাপাশি দেখানো হয়েছে পুর্ন বয়সে সন্তান সম্ভবা মহিলা তার প্রসুতিকালীন কি কি পরিচর্চা করা হয়েছে এবং হাসপাতালে গিয়ে সন্তান প্রসব হয়েছে ফলে প্রসুতি মা ও সন্তান সকলেই সুস্থ্য। এখানে বাড়িতে সন্তান প্রসব করালে যেমন স্বাস্থের ক্ষতি পাশাপাশি সরকারী সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। জল্পনা সরকার,সুপ্রীতি সরকার রা বলেন, সংসারের কাজকর্ম সামলে নিজের পেশার কাজের পর কোন দিন ভাবনা হয়নি যে তথ্যচিত্রে অভিনয় করবো, জেল শাসক এর ভাবনার ফসলে আমাদের স্বপ্ন সফল হল, ৩০ মিনিটের এই তথ্য চিত্রের জন্য তিন দিন ধরে সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত আমাদেরকে কাজ করতে হয়েছে। খুব ভালো লেগেছে। পরবর্তী সময়ে সুযোগ এলে আরো ভালো অভিনয় করবো এই ধরনের সচেতনতা মুলক প্রচারের কাজে। জেলা সাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, এবার থেকে সচেতনতা মুলক প্রচারে সংশ্লিষ্ট প্রচারের সেই দফতরের কর্মী দিয়ে এই ধরেনের কাজ করানো হবে। জেলাতে ২০১১-১২ সালে হাসপাতালে প্রসবের হারছিল ৭৩% এবং ২০১৬ সালে সেটা হয়েছে ৯৩%। আমাদের লক্ষ বাড়িতে সন্তান প্রসব বন্ধ করা। সেই লক্ষে রামপুরহাটের ১০ টি এবং সিউড়ির ১০ টি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এলাকায় এই তথ্য চিত্রের প্রচার করা হবে। পাশাপাশি রাজ্য জুড়েও যাতে এই তথ্য চিত্রের প্রচার হয় তার সিডি পাঠিয়ে দেওয়া হবে স্বাস্থ্য দফতরে।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments