Home » জেলার খবর » সিউড়ী সদর হাসপাতালের কথা

সিউড়ী সদর হাসপাতালের কথা

অত্যাধুনিক চিকিৎসা যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত কোনও সরকারী বা বেসরকারী হাসপাতাল নয় , সীমিত পরিকাঠামো বেষ্টিত সিউড়ি সদর হাসপাতালে  প্রায় বিরল রোগের অস্ত্রোপ্রচার করলেন চিকিৎসক।দুঘণ্টারও বেশী সময় ধরে চলা অপারেশনের পর রোগী আপাতত সুস্থ ।

সিউড়ি সদর হাসপাতালের ওপরই ভরসা করে থাকেন শুধু বীরভূম নয় পাশ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষ ।স্বাভাবিক কারণে এই খবরে সবাই খুশী।

সূত্রে জানা গিয়েছে , দিনমজুর প্রদীপ ধীবর দীর্ঘদিন যাবত পেটের রোগে

অসুস্থ ছিলেন ।কোনও খাবার তার হজম হচ্ছিল না।খাবার খেলে তা সঙ্গে  সঙ্গে বমি হয়ে যাচ্ছিল ।রোগীর বাড়ির লোকজন রোগ নিরাময়ের জন্য  বর্ধমানে নিয়ে গিয়েছিলেন।বর্ধমান থেকে তাকে কোলকাতায় পিজি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।কিন্তু সেখানেও দ্রুত অপারেশনের ব্যবস্থা করা যাইনি ।

রোগীর কথায় “কোলকাতার পিজি হাসপাতাল বলেছিল তিন মাস পরে যেতে ।কিন্তু, কবে অপারেশন হবে, তা বলেনি।”

এদিকে প্রদীপ বাবু চরম অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাড়ির লোকজন সিউড়ি সদর হাসপাতালের শল্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

সৌমেন্দ্র দত্ত নামে ওই চিকিৎসক উদ্যোগী হয়ে আর তিন চিকিৎসকের সহযোগিতায় সীমিত পরিকাঠামোর সরকারি হাসপাতালের মধ্যেই সাফল্যের সাথে  অস্ত্রোপ্রচার সম্পন্ন করেছেন ।রোগীও  যথারীতি সুস্থতার পথে ।

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন  , রোগীর ক্ষুদ্রান্তের প্রথম অংশে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতের জন্য  (ডিওডেনাল আলসার) পাচক নালীর বাঁধার (গ্যাষ্টিক আউটলেট অবস্ট্রাকশন) সৃষ্টি হওয়ার কারণে খাবার পাকস্থলী থেকে নীচে নামছিল না।ফলে খাওয়া খাবার সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে যাচ্ছিল।বর্তমানে এমন রোগ  বিরল।হাতে গোনা মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।প্রায় দুঘণ্টা চল্লিশ মিনিট ধরে এই অস্ত্রোপ্রচার করা হয়েছে ।শল্য চিকিৎসক অবশ্য যাবতীয় কৃতিত্ব একা নিতে চাননি ।তিনি বলেছেন “এই অস্ত্রোপ্রচারের কৃতিত্ব আমার একার নয়।  সর্বত্র ভাবে সহযোগিতা করেছেন তিন জন চিকিৎসক বিশ্বনাথ আচার্য,শংকর প্রসাদ দাস ও গৌতম রায় সহ অন্যান্যরা।” সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপার শোভন দে বলেছেন “অস্ত্রোপ্রচারটি মেডিক্যাল কলেজের স্থরে ও যথেষ্টই  জটিল ।হাসপাতালের চিকিৎসকরা দলগত  ভাবে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটা সফল করেছেন ।” তিনি চিকিৎসকেদের কাজে আনন্দ প্রকাশ করেছেন ও  ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন ।

তথ্যটি পাঠিয়েছেন -Sagnik Banerjee.

Comments