বছরের এইসমই একবার ই পর পর তিনদিন আসে মনোরঞ্জন প্রদান করতে সবার কাছে। শেষের দিন সবাই কিছু চাল ডাল টাকা পয়সা দিয়ে বিদায় দেয় এই ছদ্মবেশী মানুষটিকে। বাচ্চারা এখনও এদের দেখলে ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘরের ভিতর ঢুকে যায়। এমন কি আমরাও। এতটাই সুন্দর অভিনয় করে এরা, ভয় পেতে বাধ্য হয় সবাই। কত টাকায় বা রোজগার হয় এই ছদ্মবেশী দের? হয় না বললেই চলে, তাতে এদের কোন আক্ষেপ থাকে না মনে…।। এদের ভালো লাগে তখনই, যখন তাকে দেখে সবাই আনন্দ পাই… দৌড়ে ছুট দেয় এধার ওধার। সেই সবাই তার আসল রূপ হয়ত কখনও দেখেই নি, অন্যান্য রূপেই বছরের পর বছর দেখে এসেছে, যাকে আমরা “বহুরূপী” বলি।
চয়ন দাস ঠাকুর ।।