বক্রেশ্বর : বীরভূমের বিখ্যাত সতীপীঠ গুলির অন্যতম বক্রেশ্বর, বক্রেশ্বর শব্দটি এসেছে স্থানীয় বক্রেশ্বর শিবের নামানুসারে। বক্র শব্দটির অর্থ বাঁকা; ঈশ্বর অর্থে ভগবান। পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, সত্যযুগে লক্ষ্মীও নারায়ণের বিবাহ অনুষ্ঠানে সুব্রত মুণি দেবরাজ ইন্দ্র কর্তৃক অপমানিত হন। ক্রুদ্ধ ঋষির দেহ আটটি বাঁকে বেঁকে যায়। তিনি অষ্টবক্র ঋষি নামে পরিচিত হন। বহুবছর শিবের তপস্যা করে ঋষি সুস্থ হয়ে ওঠেন। বক্রেশ্বর ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এবং হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থ।
তা সত্ত্বেও এই বিখ্যাত জায়গার খ্যাতি বিভিন্ন দিক দিয়ে সুদূর প্রসারী নয়। যেটুকু খ্যাতি আছে তাও আবার শক্তিপীঠ বা সতীপিঠের তুলনায় এখানকার উষ্ণ প্রস্রবনের জন্য। এর জন্য বহুলাংশে দায়ী এখানকার ভৌগলিক অবস্থান, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বিনোদনের অভাব। এসকল অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই এবার বক্রেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদ থেকে তাদের আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু উন্নয়নের পরিকল্পনা রাখা হল বলে সংবাদ সূত্রে খবর।
কি কি পরিকল্পনার মধ্যে থাকলো তা জেনে নিন –
১- রাস্তাঘাট
২- গোটা বক্রেশ্বর ধামজুড়ে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা
৩- বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে যাওয়ার পথ
৪- বাসস্ট্যান্ড উন্নত করা
৫- উষ্ণ প্রস্রবণ কুন্ড থেকে নিকাশি নালা সংস্কার
৬- পানীয় জলের জন্য মার্ক টু নলকূপ
ইত্যাদি।
এর পাশাপাশি জাতীয় সড়ক থেকে পন্ডিতপুরের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা বক্রেশ্বর রাস্তার সাথে মিলানোরও এবং পর্যটক টানতে দুবরাজপুরের মামভাগ্নে ও নিলনির্জনকে সাজিয়ে তোলারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।।