প্রথমে যমজ কন্যা সন্তান পরে আরো এক কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।চারজনের বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে গৃহবধূর পরিবার।পুলিশ অভিযোগ পেয়ে শ্বাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে বাকিরা পলাতক।
মৃতার নাম বিশাখা মণ্ডল (৩০)।বাপের বাড়ি রামপুরহাট পুরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রাহ্মনি গ্রামে।১১ বছর আগে একই থানার কাস্টগড়ার প্রণব কুমার মণ্ডলের সাথে বিয়ে হয়।প্রণব পাথর ব্যাবসায়ী।বিয়ের ছয় বছর পর বিশাখা দুই জমজ কন্যার জন্ম দেয়। এর দুই বছর পর আরও এক মেয়ের জন্ম দেয়।এরপর থেকেই অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়ির লোকের।
মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকজন।এমন কি প্রণবও নিজের চিকিৎসার জন্য বাপের বাড়ি থেকে চাপ দিত টাকা আনার জন্য।
এইদিকে দিনকয়েক আগে চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরু যায় প্রণব।তিন মেয়েও শ্বাশুড়ির সঙ্গে থাকতো বিশাখা।গ্রাম থেকে ফোন করে জানানো হয় বিশাখা আত্মহত্যা করেছে।
উৎপল মণ্ডল (গৃহবধূর দাদা) বলেন তিন কন্যা সন্তান হয়েছে বলে বোনের উপর চাপ দিত টাকা আনার জন্য।দিন কয়েক আগে জামাই বেঙ্গালুরু গেছে চিকিৎসার জন্য ওখান থেকেও চাপ দিত টাকা আনার জন্য।এরপরই স্বামীর প্ররোচনায় শ্বাশুড়ি ,ননদ ও তার স্বামী বোনকে হত্যা করে।তারা বোনের গলায় শাড়ির ফাঁস দিয়ে হত্যা করে।
আমরা যখন গ্রামে যাই তখন বোন বেঁচে ছিল।সে বলে ,তাকে জোর করে শ্বাশুড়ি পারুল মণ্ডল,ননদ মিতু মণ্ডল ওরফে সুনিতা তার স্বামী অজয় কুমার চৌধুরী ঝুলিয়ে দেই।
বোনকে রামপুরহাট হাসপাতাল নিয়ে যাবার পথে মৃত্যু হয়।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ শ্বাশুড়ি পারুল মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ ও ৩০২ ধারায় বধূ নির্যাতন এবং খুনের মামলা রজু করেছে।
ছবি ও তথ্যঃ ভিক্টর
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]