Home » জেলার খবর » তারাপীঠে দাদাগিরি বিহারের মন্ত্রীর

তারাপীঠে দাদাগিরি বিহারের মন্ত্রীর

অনলাইনে হোটেল বুকিং নিয়ে বচসা। যার জেরে দুপক্ষের হাতাহাতি। হুলুস্থুল কান্ড।
বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকায় একদিনের জন্য তারাপীঠের একটি হোটেলে চারটি ঘর বুক করেন বিহারের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সুরেশ শর্মা। বছরের প্রথম দিন তারাপীঠে থাকার কথা ছিল তাঁর। সেইমত মন্ত্রীর দুটি গাড়ি আসে জানুয়ারির প্রথম সন্ধ্যায়। তারপর ম্যানেজারকে বলেন হোটেলে থাকবে না, তাই টাকা ফেরত দিতে। কিন্তু ম্যানেজার বলেন, যেহেতু আপনাদের বুকিং অনলাইনে, তাই রিফান্ড ওখান থেকেই হবে। আর তারপরেই শুরু হয় তর্কবিতর্ক, গালিগালাজ শেষমেষ হাতাহাতি। হোটেল ম্যানেজার সুনীল গিরি বলেন, “মন্ত্রী এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা রিসেপশনে গিয়ে বলেন, তাঁরা হোটেলে থাকবেন না। তাই টাকা ফেরত দিতে হবে। কিন্তু, আমাদের কর্মীরা জানায়, অনলাইনে বুক করলে অনলাইনেই টাকা ফেরত নিতে হবে। তাঁরা সে কথা মানতে চাননি। এরপরই অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন মন্ত্রী। সেইসঙ্গে কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করতে থাকেন। ছিঁড়ে দেওয়া হয় খাতাপত্র। কম্পিউটার ভেঙে দেওয়া হয়। এরপর হোটেলের কর্মীরা তাঁদের ঘিরে ধরলে পালিয়ে যান মন্ত্রী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা।” তাঁর আরও অভিযোগ, “যাওয়ার সময় মোদির লোক বলে শাসিয়ে যান মন্ত্রী”।
মারধরের পালটা অভিযোগ করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “অনলাইনে চারটে ঘর বুক করা হয়েছিল। আমরা যখন হোটেলে গিয়ে ঘরের কথা বলি তখন হোটেল কর্মীরা জানিয়ে দেন ঘর দিতে দেরি হবে। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎই হোটেলকর্মীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। আমার নিরাপত্তারক্ষী মনীশ কুমার ও চালক গণেশ কুমারকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে চালকের। আমাদের রাস্তায় মারতে মারতে বের করে দেওয়া হয়। CCTV ফুটেজে সব প্রমাণ পাওয়া যাবে।” তিনি আরও বলেন, “যা অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরলাম বিহারবাসীকে তারাপীঠে পুজো দিতে না আসার আবেদন জানাব।”
তথ্য সহায়তায় ইনাডু বাংলা।

-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]

Comments