ঘটনার সূত্রপাত গতকাল দুপুরের পর থেকে। বচসা শুরু হয় সিউড়ির রামকৃষ্ণ শিল্প বিদ্যাপীঠের ছাত্রদের সাথে একটি বাসের। কারন হিসাবে জানা যায় বাসভাড়া। পরে ছাত্রদের বাসে না উঠানোর মত হুমকি দেয় বাসের কন্ডাক্টর। এরপরেই শুরু ঝামেলা। ছাত্ররা বাস ভাঙচুর করে এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে ৬০ অবরোধ শুরু করে। ঘন্টা দুয়েক জাতীয় সড়ক অবরোধের পর পুলিশের হস্তক্ষেপে উঠে যায় অবরোধ। এ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু এরপরেও ঝামেলার শেষ হয়নি।
বিকাল নাগাদ কলেজের ছাত্রদের দেখা যায় সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। সেখানে শুরু হয় আবার গন্ডগোল। ছাত্রদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ফলে ছাত্ররা আবার ক্ষিপ্ত হয়ে অবরোধ করে জাতীয় সড়ক ৬০ আর এদিকে বাসমালিকেরা শুরু করেন বাস ধর্মঘট। দ্বিতীয়বারের জাতীয় সড়ক অবরোধ উঠে যায় সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ, কিন্তু বাস ধর্মঘট আজও উঠেনি।
এই বাস ধর্মঘটের ফলে গতকাল বিকালের পর থেকে বহু মানুষ ভোগান্তির শিকার হন। বাইরে থেকে আসা অনেকেই বাড়ি ফিরতে পারেননি। পাশাপাশি শুরু হয় টোটো বা অন্যান্য ভাড়ার গাড়ির ভাড়া বৃদ্ধির উপদ্রব।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাস মালিকদের পক্ষ থেকে বাস ধর্মঘট তুলে নেওয়ার আশ্বাস মেলেনি।
অন্যদিকে এইরূপ বাস ধর্মঘটের ফলে পরিষেবা দিতে প্রবল চাপের মুখে সরকারি বাসগুলি।
ছবি :- কাজী মতিউর রহমান