কখনো রক্ত নেই, কখনো ডোনার থাকলেও স্টাফের অভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ডোনারকে বসে থাকতে হচ্ছে। থ্যালাসেমিয়া ইউনিট ঘুরে দেখা গেল, ১ বছরের শিশু থেকে আরম্ভ করে ১৮-২০ বছর বয়সীদের প্রত্যেকের হাতে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি তৈরি সেই সকাল থেকেই। তারপর ব্লাড ব্যাঙ্কের দিকে চেয়ে থাকা। সেখান কখনো উত্তর আসে রক্ত নেই, কখনো বলা হয় একই গ্রূপের রক্তদাতা নিয়ে আসুন , কখনো বা বলা হয় রক্ত আছে কিন্তু সেগুলি পরীক্ষা করার মত বা বিভাগ নির্বাচন ও অন্যান্য পরীক্ষা করার মত কোনো কর্মী নেই ইত্যাদি বিভিন্ন রকম কথা, সবথেকে আশ্চর্যজনক এটাই যে কেউই একই রকম উত্তর দেন না, বিভিন্ন মুনির বিভিন্ন মত। এরপর রোগীর আত্মীয়রা রক্তদাতা নিয়ে এলেও দেখা যায় রক্ত নেওয়ার মত কোনো কর্মী সেখানে উপস্থিত নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা একদিকে রোগী অন্যদিকে রক্তদাতা দুজনকেই বসে থাকতে হচ্ছে।
সবকিছুই অগোছালো অবস্থায় দেখা গেল সিউড়ি সদর হাসপাতালের Blood Bank কে। মজুত রক্তের তালিকাও দরজার একদিকে শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে। রীতিমত প্রশিক্ষণহীন কতকজন কর্মীকে বসিয়ে চালানো হচ্ছে এই Blood Bank, যারা কিনা ওখানে বসে আছেন কেবল এই নেই, ওই নেই এই সকল উত্তর দিতে।