Home » জেলার খবর » ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে রেলের আন্ডার পাশ, কি হবে আগামী দিনে ?

ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে রেলের আন্ডার পাশ, কি হবে আগামী দিনে ?

বীরভূম ১৭ জুলাইঃ- ক্রমশ সঙ্কুচিত হয়ে যাচ্ছে রেলের আন্ডার পাশ। আর তাতে সমস্যায় পড়ছেন তার নিচে চলাচল কারী বাস থেকে অন্যান্য যান বাহনের চালকের। কিছু বাস তো ঘুর পথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। রেল দফতর জানিয়েছে বিষয়টি তারা দেখে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবে। বীরভূমের সাঁইথিয়া- অন্ডাল রেল শাখার সিউড়ি ষ্টেশনের কাছে রেলের এই আন্ডার পাশ। সিউড়ি-দুবরাজপুর সড়কের উপর এটি পরে। প্রায় ৫০ ফুটের বেশি দীর্ঘ এই আন্ডার পাশটি। দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী কোন সংস্কার না হওয়ার কারনে রাস্তা থেকে ব্রিজ ও লোহার দেওয়া ব্যারিকেটের উচ্চতা কমে আসছে। এখন ওই স্থানে বাস পারাপার খুব সমস্যা হয়ে আসেছে। আন্ডার পাশটির অস্থায়ী মেরামত করার সময় মাটি ও পাথর দেওয়ার ফলে উচ্চতা ক্রমশ ক্রমে আসছে রাস্তার সঙ্গে ব্রিজের। এর সঙ্গে বৃষ্টি হলে ওই আন্ডার পাশের অবস্থা জল জমে ভয়াবহ আকার ধারন করে। সেই সময় মোটর বাইক থেকে সাইকেলে বা হেঁটে পারাপার করা ঝুঁকি হয়ে যায়। বাসের চালকদের দাবি এক সময়ে খুব সহজেই পারপার করা যেতো এখানে। কিন্তু এখন রীতিমতো নজর রাখতে হয় যাতে বাসের ছাদের সঙ্গে ব্রিজ বা লোহার ব্যারিকেটের সঙ্গে ঠিকে না যায়। সিউড়ি কোলকাতা রুটের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাস, আসানসোল রুটের কিছু বাস, স্লিপার বাস, ভলভো বাসকে আবদারপুর রেলের লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে বেনীমাধব মোড় হয়ে কয়েক কিমি পথ বেশী ঘুরে সিউড়ি শহরের বাসস্ট্যান্ডগুলিতে ঢুকতে হয় এবং বাস স্ট্যান্ড থেকে ওই পথেই যেতে হয়। গত ১৪ জুলাই সকালে সরকারী বাসের ছাদের চেপে সিউড়ি আসতে গিয়ে ওই স্থানে দুর্ঘটনাগ্রস্থ হন দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ কোড়া নামে এক ব্যাক্তি। তার শিরদাঁড়ার হাড় ভেঙ্গে গিয়েছে। তিনি বর্তমানে সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাস চালকদের দাবি ওই স্থানের মাটি তুলে ফেলে দিয়ে ঢালাই করে দিতে হবে এর সঙ্গে জল পারাপারের জন্য নিকাশি নালাও করতে হবে তাহলে ওই আন্ডার পাশে যাতায়াতের সমস্যা মিটবে। দক্ষিণ বঙ্গ পরিবহ সংস্থার সিউড়ি ডিপো আধিকারিক তাপস মুখার্জী বলেন, রেলের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবো আমরা যাতে ওই আন্ডার পাশটি স্থায়ী ভাবে মেরামত করা হয়। আসানসোল ডিভিসনের রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক রুপায়ন মিত্র বলেন,বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না বা কোন অভিযোগ আসেনি এখনো। ওই স্থানে আমাদের আধিকারিক পাঠিয়ে কি সমস্যা আছে সেটা দেখা হবে ও স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে নিয়ম মতো।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments