জেলার ময়ুরাক্ষী কোপাই সহ সমস্ত নদী বিপদ সীমা ছুঁয়েছে। নদী তীরবর্তী বেশির ভাগ অংশ প্লাবিত।। সহযোগীতার হাত বারানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।।
১) বীরভূমের দুবরাজপুর – আসানসোল রোড ৬০ নং জাতীয় সড়কে, গড়গড়া ঘাটে শাল নদীর জল বাড়ার কারনে ভেঙে গিয়েছে রাস্তা, যানচলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।। গতকাল রাস্তা জলের তলায় ছিলো, আজ একটু জল কমলেও যানচলাচল স্তব্ধ।।শাল নদির জল বাড়ায় এই ঘটনা ।
২) বোলপুরে এবার কোপাই নদিতে জল বাড়ায় জলের তলায় বীরভূমের অন্যতম সতীপীঠ কঙ্কালিতলা।। প্রায় এক হাঁটু জল অন্যত্র শিব মন্দিরে সরানো হলো মা কে।।
৩) বক্রেশ্বর নদীর জল বাড়ায় বন্ধ বোলপুর আমোদপুর রাজ্য সড়ক।। এই রাস্তায় কুরুংসা গ্রামের কাছে জল দেখতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র। পরে এলাকাবাসী মৃতদেহ উদ্ধার করে।। মৃতের নাম অর্নব চ্যাটার্জী । এলাকায় সতর্ক বার্তা প্রচার করা হয় প্রশাসনের তরফে।।
৪) কুয়ে নদির জল বাড়ায় বন্ধ হয়ে পড়লো সিউড়ি কাটোয়া যান চলাচল।। লাভপুর লাঘাটা ব্রীজ ঢুবে যাওয়ায় এই বিপত্তি।। প্রবল সমস্যায় মানুষ।
অন্যদিকে, বীরভূম জেলায় বিভিন্ন নদী তীরবর্তী প্রায় ৫০ টির ও বেশি গ্রাম প্লাবিত।। এছাড়াও বিশাল পরিমান চাষের জমি জলের তলায়।। ফলে ফসল নষ্টের আশঙ্কা।। জেলা আবহাওয়া দফতরের দাবী, বৃষ্টি পরিমান বাড়তে থাকলে বীরভূমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়বে।। প্রশাসনের তরফে জেলা শাসকের অফিসে ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
প্রশাসন জানিয়েছে, জল বাড়ায় ইতিমধ্যে আজ বীরভূমের তিলপাড়া ব্যারেজ থেকে ৪ হাজার ১২৮ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, হিংলো ব্রীজ থেকে ৪ হাজার ২৩৮ কিউসেক জল, ব্রাহ্মণী নদী থেকে ২ হাজার ২৮ কিউসেক ও দ্বারকা থেকে ২ হাজার ২৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।।। বীরভূম জেলার সমস্ত নদীই বিপদ সীমা ছুঁয়েছে।।
ভিডিও ও তথ্যঃ প্রসেনজিৎ মালাকার
[uam_ad id=”3726″]