Home » জেলার খবর » অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য

অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য

অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার পচ্চনপুর গ্রামে। শুক্রবার সকালে সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতাল মারা যান ওই গৃহবধু। মৃতার বাবার বাড়ির অভিযোগ স্বামী সহ তাঁদের পরিবার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে দিয়েছে। এদিকে স্বামীও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর থেকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক। যদিও তাঁদের নাবালক পুত্ররা জানিয়েছে মা নিজেই আগুন দিয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে মৃত গৃহবধু হলেন সেবিনা বিবি(২৮)। বাবার বাড়ি মহম্মদ বাজার থানার দীঘল গ্রামে। বছর দশেক আগে পচ্চনপুরে ফল বিক্রেতা ফজল শেখের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বর্তমানে দুই ছেলে আছে। মৃত গৃহবধুর বাবার বাড়ির দাবি বৃহস্পতিবার সেবিনা তাদেরকে ফোন করে জানায় যে তাকে মারধোর করছে স্বসুরবাড়ির লোকজন। তার পরে বিকেলে ফের জামাই ফোন করে জানায় যে মেয়ে গায়ে আগুন দিয়েছে। এর পর মৃতার দিনি পানবিলাস বিবি ও এক দাদা মফিজুল শেখ এবং আরো একজন পচ্চনপুর যায় এনং তারা সেবিনাকে মল্লারপুর গ্রামীন হাসপাতাল ভর্তি করে। সেখান থেকে গভীর রাত্রে সিউড়ি হাসপাতালে রেফার করে। এদিন সকালে গৃহবধু মারা যায়। মৃতার দিদি পানবিলাস বিবি বলেন, বোনকে আমরা মল্লারপুরের রেল গেট সংলগ্ন এলাকার রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার আগে বোনের শ্বশুর বাড়ির লোক জন রেল লাইনের ধার বরাবর অগ্নি দগ্ধ অবস্থার পর হাটিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং রাস্তাতে ফেলে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার পর বোনের শ্বশুর বাড়ির লোকজন কে আমরা ফোন করে সিউড়ি হাসপাতালে আসার কথা বললেও তারা আসতে অস্বীকার করে।হাসপাতালে বোন আমাকে বলেছে স্বামী সহ তার ভাসুর ও দেওর মিলে মারধোর করে গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এদিন সকালে বোন মারা যায়। মৃতার মা উজালা বেওয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে জামাই ও তার পরিবার নিয়মিত অশান্তি করতো। আমার স্বামী বেশ কয়েক বছর আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। তাই মেয়েকে বলতাম বাবা নেই একটু কষ্ট করে মানিয়ে নিয়ে থাক শ্বশুর বাড়িতে। মেয়ে জামায় পৃথক থাকলেও জামাই এর পরিবার মেয়ের উপর মাঝে মধ্যেই মারধোর করতো কিন্তু জামাই এর তাতে কোন প্রতিবাদ ছিলও না। ওরা আমার মেয়েক মেরেই ফেললো। আমরা ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছি মহম্মদ বাজার থানায়’’। মৃতার দুই না বালক পুত্র সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছে যে, বাবা লড়ি নিয়ে পাথর আনতে গিয়েছিল। সেই সময় মা পাশের পাড়ার এক জনকে ফোন করে ডাকে। বাবা তারাতারি বাড়ি চলে এলে মা ও ওই এক জন মায়ের সঙ্গে শুয়ে ছিল। মা বাবাকে কাওকে বলতে নিষেধ করে। বাবা নানীকে ফোন করে ঘটনার কথা বলে। তখন মা লজ্জায় কেরোসিন ঢেলে নিজেই আগুন লাগায় ও বাবাকে ধরে। তাতে বাবার বুক ও হাত পুড়েছে। মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে অভিযোগের তদন্ত করা হবে।
ছবি ও তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]

Comments