Home » জেলার খবর » আবার গণধর্ষণের অভিযোগ

আবার গণধর্ষণের অভিযোগ

এক আদিবাসী তরুনী গৃহবধূকে মেলা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গনধর্ষণের অভিযোগ উঠলো তাঁর এক প্রতিবেশী ও সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার তাপাইপুর গ্রামে। ঘটনায় নির্যাতিতা গৃহবধু সিউড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বছর ২৪ এর এক গৃহবধুকে ১০ জন মিলে গনধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গত শুক্রবার সাঁইথিয়া থানার কুলতোর গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধু তাঁর স্বামী, পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে ট্রাক্টারে করে সিউড়ির তাপাইপুরের পঞ্চরস গানের মেলা দেখতে যান। পঞ্চরসের আসরে পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক বসার ব্যবস্থা ছিল। সেখান থেকে ওই গৃহবধূকে তাঁর দুই বান্ধবী সুমিতা ও শহুরী শৌচকর্ম করার জন্য বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তারা মেলার দোকানে যায়। অভিযোগ ওই গৃহবধুর প্রতিবেশী পুসন মার্ডি তাকে মোটর বাইকে করে জোর করে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই পুসন এর আরো কয়েকজন সঙ্গী উপস্থিত ছিল। নির্যাতিতা গৃহবধুর
দাবি তাঁর চোখে ও মুখে কাপড় বেঁধে দিয়ে দশজন মিলে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার ভাসুর ট্রাক্টার ঠিক আছে কিনা দেখতে গেলে তিনি দেখেন যে বৌমা কাঁদছে। এরপর ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে ও বাড়ি ফিরে যায়। লোক লজ্জার ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে না বলে গৃহবধূ তাঁর স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি মহম্মদ বাজার থানার চরিচা গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলবাগানে যায় রবিবার। মঙ্গলবার ওই গৃহবধু অসুস্থ বোধ করলে সেই দিনের ঘটনার কথা ওই গৃহবধু সবাইকে খুলে বলে। তাঁর ভাই, স্বামী ও আত্মীয়রা তাকে প্যাটেল নগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। গনধর্ষণের ঘটনা শুনে প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহম্মদ বাজার থানায় পাঠায় চিকিৎসকেরা। মহম্মদ বাজার থানার পুলিশ সেখান থেকে সিউড়ি থানায় পাঠায় ঘটনাস্থল ওই এলাকা হওয়ার জন্য। সিউড়ি থানাতে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় পুসন ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। মহিলার সিউড়ি সুপার স্পেসালিটি হাসপাতালে মেডিক্যাল করা হয়েছে। নির্যাতিতা গৃহবধু বলেন, তাঁর দুই বান্ধবী আগে থেকেই চক্রান্ত করেছিল। আর তাতেই আমাকে ১০ জন মিলে পুসন ও তাঁর সঙ্গীরা ধর্ষণ করলো। বীরভূম জেলা আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার সভাপতি সুনিল সোরেন বলেন, ঘটনাটি খুব নিন্দনীয়। পুলিশের কাছে দাবি করছি অবিলম্বে প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার সুধীর কুমার নীল কান্তম বলেন, ঘটনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে দুস্কৃতিদের গ্রেফতার করা হবে।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই

-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]

Comments