গত কাল থেকে বীরভূমের জেলা জূড়ে লাগাতার ভাড়ি বৃষ্টির জেরে প্রায় জলমগ্ন গোটা জেলা। গত বছর বীরভূমের বেশ কিছু এলাকায় বন্যার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার বহু আগে থেকেই বীরভূম জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ইতি মধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিন বীরভূম জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলা জূড়ে বৃষ্টিপাত আগামী দুদিনে আরো বাড়তেও পাড়ে। তবে এখনই বৃষ্টির জেরে জেলা জুড়ে পরিস্থিতি হয়েছে তাতে আগামী দুদিনে বৃষ্টি হলে এবারও বীরভূমে বন্যা পরিস্থিতি তৈরী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে। এদিন জেলা আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে আরো জানা গেছে, বুধবার এবং বৃহস্পতিবার বিকাল অবধি বীরভূমের জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সিউড়িতে ১০৮ মিলিমি, বোলপুরে ১৫.৬মিলিমি, রামপুরহাটে ২.০মিলিমি, ইলামবাজারে ৯৫.০ মিলিমি। তবে এদিন সকালে থেকে রামপুরহাটে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেক খানি বেড়েছে বলে জানা গেছে। এই দুদিনে বৃষ্টির জেরে বীরভূমের বিভিন্ন ড্যাম্প থেকে জলও ছাড়া হয়েছে বিশাল পরিমাণে। সিউড়ির কাছে বক্রেশ্বর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে ২৭৯৭ কিউসেক জল, তীলপাড়া ব্যারেজ থেকে ৫০০ কিউসেক জল, কোপাই ব্যারেজ থেকে ১২৮২ কিউসেক জল এবং ব্রাম্ভনী ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে ৩৪৩ কিউসেক জল। এই জল ছাড়ার ফলে জেলার কোনও গ্রাম প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া যায় নি। তবে লাগাতার বৃষ্টির জেরে বীরভূম কিছু গ্রামে নিচু এলাকা গুলিতে জল জমতে শুরু করেছে। এর ফলে সেই গ্রামের বাসিন্দারা কিছু হলেও দূর্ভোগে পড়েছে বলে জানা গেছে। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে গোটা জেলাতেই খবর রাখা হচ্ছে। যদি কোনও পরিবার বা গ্রাম সমস্যায় পড়ে তাহলে তাদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করবে বীরভূম প্রশাসন।
এদিকে বর্ষার শুরুতেই বীরভূমের দ্বারকা নদীর ব্যারেজে মাছের চারা ছাড়া হল প্রশাসনের তরফে। এই ভাবে এই মর্শুমে জেলার বিভিন্ন জলাধারেই মাছের চারা ছাড়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]