দুবরাজপুর : ৩৩৭ নাম্বার দেখে হয়তো আহামরি কিছু নাও মনে হতে পারে। শতাংশের দিক দিয়ে ৬৬% ।
বালিজুড়ির সোমনাথের এটাই অসাধ্য সাধন। নিজে ১০০% শারীরিক প্রতিবন্ধী। চোখে শুধু আলোর আভাস আসে বাকি সব ঝাপসা।
শুধু শারীরিক দিক দিয়েই নয়, অর্থনৈতিক দিক দিয়েও একই সমস্যা। সোমনাথের পরিবারে চারজন – বাবা কানাই দাস, ভাই গোপীনাথ, মা পূর্ণিমা দাস। বাবা ও ভাই গোপী দুজনেই জন্মান্ধ, পরিবারে নিজেকে নিয়ে মোট ৩জনই জন্মান্ধ। সংসার চলে মায়ের পরিশ্রমে । মাঠে , ইটভাটায় কাজ করে, কখনো ঘুঁটে ইত্যাদির মাধ্যমে সংসার টানেন চারজন সদস্যের। হাজার অভাবের মধ্যেও মা সব সময় চেয়েছিলেন ছেলের পড়াশুনা এগিয়ে যাক।
সোমনাথের পক্ষে সুবিধাজনক স্কুল হিসেবে বালিজুড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। বাড়ির আর কেউ অষ্টম শ্রেণীর বেশি পড়েনি। বন্ধুদের থেকে বই চেয়ে বা সারাংশ শুনেই সে আজ ৩৩৭ নাম্বারের অধিকারী। দামি রেকর্ডিং মেশিন না থাকায়, অল্প দামি মোবাইলেই রেকর্ডিং করে তা শুনে শুনে পড়া চালিয়ে গেছে।
বালিজুড়ি স্কুলের শিক্ষকরাও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
এবার কলেজের পালা। কিন্তু সমস্যা সেই একটাই —– খরচ!
ছবি ও তথ্যঃ আনন্দবাজার পত্রিকা