বীরভূমের ইটন্ডা গ্রামে সাধু পরিবারের ভগ্নপ্রায় পঞ্চরত্ন শিবমন্দির। ফলক দেখে জানা যায় ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে রসানন্দ সাধু মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই সাধু পরিবার একদা গ্রামের সবচেয়ে বর্ধিষ্ণু ছিলেন। শোনা যায়, রসানন্দ সাধু বৃন্দাবন সহ উত্তর ভারতে তীর্থ পরিক্রমা করে আসার পর নিজের জমিতে একাধিক দেবালয় স্থাপন করেন। কিন্তু একটি বাদে বাকি মন্দিরগুলি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ। সাধু পরিবার আর্থিক কারণে সংস্কার করতে পারছেন না। এই পঞ্চরত্ন মন্দিরের কথাই ধরা যাক। সামনের টেরাকোটা ফলকগুলি নীচের অংশ থেকে উধাও। খসে পড়ে গিয়েছে না খুলে নেওয়া হয়েছে। মূল দরজার ওপরে রামের রাজসভার দৃশ্য আজও প্রায় অটুট। হনুমান জাম্বুমানকে আলাদা করে চেনা যায়। কিন্তু রাম-সীতার হাত ক্ষতিগ্রস্ত। কয়েকটি বিচিত্রদর্শন দৈত্য দানোর মূর্তি নজর কাড়ে। বিশেষ আকর্ষণ শাড়ি পরিহিত কালীমূর্তি, ছোটো টেরাকোটা ফলক হলেও অভিনব। মন্দিরের ভেতরে শিবলিঙ্গের নিত্য পুজো হয়। কিন্তু সমগ্র দেবালয়টি সংরক্ষিত না হলে রাঢ়দেশের একটি গুরুত্বপপূর্ণ স্থাপত্য ও শিল্পকলার স্মারক বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইটন্ডা গ্রামের টেরাকোটাখচিত কালীমন্দির রাজ্য সরকার সংরক্ষণ করেছেন। এই মাঘ মাসের অমাবস্যায় সেখানে গ্রামের বৃহত্তম উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য সহায়তায় অরুণাভ দাস
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]