বীরভূম তথা বাংলার গর্ব আজ এই ইন্তাজ। কিন্তু কেন?
গ্রাম্য পরিবেশে বেড়ে ওঠা ইন্তাজ আলি গ্রাম্য সংস্কৃতির ঐতিহ্যকেই তাঁর জীবনের পাথেয় করে নিয়েছে। দুবরাজপুরের সারদা বিদ্যাপীঠ থেকে মাধ্যমিক পাশের পর আরবিএসডি হাইস্কুল এবং পরে সিউড়ী বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইংরাজি অনার্স নিয়ে স্নাতক হওয়া। এরপর হায়দ্রাবাদ মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল উর্দু ইউনিভারসিটি থেকে এম.এ. পাশ করেন। বাউল গান নিয়ে এমফিল করেন হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এরপর হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়েই তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক জে ভীমাইয়ার অধীনে পুরানো লোকগান ও লোকচিত্র সংরক্ষণ নিয়ে পিএইচডি করছেন। গবেষণার বিষয় হল, ‘ ফোক ন্যারেটিভস ইন কোর্যাল অ্যান্ড ভিজুয়্যাল আর্ট ফর্ম’। ইন্তাজের লক্ষ্য লোকসংস্কৃতি কীভাবে ডিজিট্যালি আর্কাইভ করা যায়। তাই তিনি সংগ্রহ করে চলেছেন অজস্র পুরাতন বাউল, ফকিরি, ঝুমুর, জারি, মুর্শিয়া, মুসলিমদের গান ইত্যাদি। এর পাশাপাশি তিনি সাহাপিডিয়ার অধীনে জারিগানের মাল্টিমিডিয়ার মডিউল তৈরীর কাজও করছেন। এ ছাড়াও অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে ‘হিস্ট্রি অব বেঙ্গলি গ্রামার’ এরও ডিজিট্যাল সংস্করণ রচনার কাজ করছেন।
মাত্র ৩০ বছরের এই গর্বিত বীরভূম সন্তান আজ আমন্ত্রিত আমেরিকার হার্ভার্ডের। ১৮ ই জুন হার্ভার্ড ইউনিভারসিটির দিকে রওনা, তারপর একমাস ধরে চলবে ১৫০ জন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পড়ুয়াদের সাথে বিশ্বসাহিত্য -সংস্কৃতির গতিপথ নিয়ে আলোচনা।