বীরভুম ২৭ জুলাইঃ- বৃষ্টি কমে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে বীরভূমে। গত এক দিন ধরে জেলা জুড়ে বৃষ্টিপাত বন্ধ হয়েছে। এবার সমস্যা শুরু হয়েছে মাটির বাড়ির। যে সমস্ত এলাকার জল ঢুকেছে সেখানে মাটির বাড়ি ভাঙতে শুরু করেছে। প্রায় হাজার দেড়েকের কাঁচা বাড়ি জেলা জুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন হয়েছে বহু মানুষ। জেলা প্রশাসনও তৎপর।
বীরভুম জেলার হিংলো, শাল, ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা ও ব্রাহ্মণী নদী ও তাঁদের শাখা নদীতে জলের ফলে লাভপুর, ময়ুরেশ্বর, খয়রাসোল,রাজনগর, রামপুরহাট ২, দুবরাজপুর,নলহাটি ১ ও ২, মুড়ারই ১ ও ২,সিউড়ি ১ এবং ২ , সাইথিয়া,নানুর, ইলামবাজার ব্লক ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা ঘুর্নাবত ও নিম্ন চাপের বৃষ্টির ফলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি। তবে জেলাতে বৃষ্টি কমলেও ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বৃষ্টি হলে জেলার ফের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ম্যাসাঞ্জোর, তেনুঘাট থেকে এখনো কোন জল ছাড়া হয়নি। এই জেলার সমস্ত জলাধারগুলি পরিপুর্ন। ঝাড়খণ্ড থেকে জল ছাড়লে জেলার জলাধারগুলি জল ছাড়তে বাধ্য হবে। তখন বীরভূম জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলাতে বন্যার পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। এখনো পর্যন্ত জেলার ওই সমস্ত ব্লকগুলিতে ১০০২ টি কাঁচা বাড়ি সম্পুর্ন ভাবে ভেঙ্গে গিয়েছে। ১৩৭৭ টি কাঁচা বাড়ি আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাভপুরের লাঘাটা ব্রিজ এখনো জলের তলায়। তবে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের গড়গড়া ঘাটে রাস্তা ভেঙ্গে গেলেও সেটা মেরামত করে দেওয়া হয়েছে এবং জাতীয় সড়কে গাড়ী চলাচল শুরু হয়েছে। প্রশাসনের সুত্রে জানা গিয়েছে জেলার প্রায় ১১ হাজারের বেশী মানুষ এই বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখিন হয়েছেন । তার মধ্যে এক স্কুল ছাত্র ও এক মহিলা মারা গিয়েছেন। বীরভুম জেলা শাসক পি মোহন গান্ধী বলেন, প্রশাসন ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খুলে রেখছে। সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। পর্যাপ্ত ত্রানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
[uam_ad id=”3726″]