রাঢ়বাংলার সব থেকে বড় পরবের নাম টুসু। প্রাণের উৎসবে মাতোয়ারা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম। টুসু মহামিলনের পরব। এই উৎসবকে ঘিরে জড়িয়ে রয়েছে জঙ্গল মহলের লোকসংস্কৃতি। যার নামও টুসু। রঙিন কাগজে বাঁশ দিয়ে তৈরি হয় নানারকমের রংবাহারি চৌডল। যা জলে ভাসানো হয় পৌষ সংক্রান্তির দিন। মানুষজন শহর থেকে গ্রাম মুখী হয়ে ওঠে এই দিন। আলাদা আলাদা ছন্দ আলাদা আলাদা গান গাওয়া হয় এই সংক্রান্তির দিন।
টুসু গান আসলে মানুষের মনের কথা। সাধারণ লোকজীবনের সুখদুঃখ, হাসি-কান্না টুসুর সুরে ভেসে ওঠে।
টুসুর গান —
“এমন জাড় (শীত) ভাই দেখি নাই আগে/গেল বুড়াবুড়ির দাঁত লাইগে/ টুসু হামার জাড়ের গ্যাঁদাফুল। মকর সিনান করে বাঁধব চুল।”
পুরুলিয়া অঞ্চলে প্রচন্ড শীতের পরিপ্রেক্ষিতে হাসি ঠাট্টায় রচনা করা এমন টুসু গান।
জনপ্রিয় টুসুর গান –
“টুসু আমার মা যা চাইবি চা/ টুসু আমার মা দেবী মা শুধু দেয় কিছু নেয় না/ টুসু আমার ঠাকুর মা, সর্বদা অনন্যা/ টুসু আমার মেয়ে সুন্দরী সবার চেয়ে/ টুসু আমার ভালবাসা, মেটে না কভু আশা/ টুসু আমার টুসুধ্বনী, সর্বগুনে গুনমণী/ টুসু আমার প্রেমিকা যা চাই, পাই তা/ টুসু আমার দেবী খুশি হয় অভাবী/ টুসু আমার জীবন, মরেও হয় না মরণ।”
তথ্য সহায়তায় সংবাদ প্রতিদিন
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]