Home » জেলার খবর » লোকপুর থানা এলাকায় ফের বিস্ফোরণে উড়ে গেলো বাড়ি

লোকপুর থানা এলাকায় ফের বিস্ফোরণে উড়ে গেলো বাড়ি

দিন কুড়ির ব্যবধানে বীরভূমের লোকপুর থানা এলাকায় ফের বিস্ফোরণে উড়ে গেলো একটি বাড়ি। স্থানীয়দের দাবি বাড়িতে মজুত থাকা বোমাতেই বিস্ফোরণ হওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই জন গুরুতর জখম সুত্রে জানা গিয়েছে। যদিও পুলিশ বোমা বিস্ফোরণ বা ঘটনায় জখমের কথা অস্বীকার করে জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে পুলিশের সামনেই সাংবাদিকদেরও শারীরিক হেনস্থা করা হয়েছে।
লোকপুর থানারই ডেমুরটিটা গ্রামে গত ১লা আগস্ট শামির চাঁদ নামে এক দুষ্কৃতির বাড়িতে বিস্ফোরণের পর ওই একই থানার বারাবন গ্রামের আইনুশ খাঁয়ের বাড়ি বুধবার সকালে উড়ে গেলো বিস্ফোরনে। ওই দুটি গ্রামের মধ্যে দুরত্বও মাত্র আড়াই কিমি। আইনুশ খাঁ এলাকায় দাগি দুষ্কৃতি বলেই পরিচিত। তার বাড়িতে মজুত থাকা বোমাতে বিস্ফোরন হয় বলে প্রাথমিক অনুমান। তাতেই প্রায় গোটা বাড়িটি ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই আইনুশ তার সঙ্গীরা পুরো বাড়িটির ধংসস্তূপ পরিষ্কার করে ফেলে। বিস্ফোরণের ফলে যে আগুন লেগে যায়, তা নেভানোর সময় জল দেওয়াই বিস্ফোরনের নমুনাও ধুয়ে যায় বলে পুলিশের অনুমান। এদিকে আইনুর শেখের দাদা রবিউল খাঁ এবং বৌদি হানা বিবি বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আইনুর বা তার জখম দাদা ও বৌদিকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তারা কোথায় আছে সেটা কেও বলতেও পারেন নি।
বুধবার সবে সকাল হয়েছে। বিস্ফোরনের আওয়াজ এর সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে ধোঁয়া। মানুষের সম্বিত ফিরে আসার পর বুঝতে পারলেন আইনুশ এর বাড়িটি উড়ে গিয়েছে। বাড়িটির খড়ের ছাওনিতেও আগুন লেগে গিয়েছে। বিস্ফরনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে ইটের গাঁথনির তিনটি দেওয়াল সহ খড়ের ছাওনির চাল ও উড়ে গিয়ে ধ্বংসস্তূপে পরিনত হয়েছে। দমকল বা পুলিশকে খবর দেওয়ার পরিবর্তে ওই ব্যাক্তির সঙ্গীরা দ্রুত ধ্বংসস্তূপ সম্পূর্ণ পরিষ্কার করে দেয়। এক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়ে পাশে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক মারধোর করা হয় ক্যামেরাও ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। এমনকি দুষ্কৃতীদের ভয়ে ওই সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিকে গ্রামের মানুষেরাও সাহায্য করতে পারেনি। কোন ক্রমে একটি বাড়ির দরজা খোলা পেয়ে সেই বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে প্রানে বাঁচেন ওই সাংবাদ কর্মী। পাশাপাশি অন্যান্য সংবাদ কর্মীদের গ্রামেই ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
দিন কুড়ির ব্যবধানে একই থানা এলাকায় দুটি বড় বিস্ফোরনের ঘটনায় চিন্তিত পুলিশ প্রশাসন। একদা মাওবাদী অধ্যুষিত খয়রাসোলের ব্লকের বেশ কিছু এলাকা এখনো দুস্কৃতিদের অবাধ মুক্তাঞ্চল। ঝাড়খণ্ড সীমান্ত কাছাকাছি ও দুর্গম হওয়াই বোমা বা আগ্নেয়াস্ত্র লেনদেন করতেও সুবিধাও হয়। পাশাপাশি কোন অপরাধ করেও ঝারখন্ডে সহজেই গা ঢাকা দেওয়া যায়। ডেমুরটিটা গ্রামের শামির চাঁদ ঝারখন্ডে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরে পরে। বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার সুধীর কুমার নীলকান্তম বলেন, বোমা বিস্ফোরণ না অন্যকিছু সেটা তদন্ত করা হচ্ছে, তবে কেউ জখম হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়।
তথ্যঃ কৌশিক সালুই
ভিডিও : সুদীপ গঁড়াই
[uam_ad id=”3726″]

Comments