বীরভূম জেলার দুবরাজপুর মামা ভাগ্নে পাহাড়ের জন্যে একটি পর্যটনের জায়গা হিসেবে পরিচিত।ছোটনাগপুর মালভূমির অন্তিম পূর্ব ভাগে অবস্থিত দুবরাজপুরের আশে পাশে কোথাও পাহাড় বা টিলা না থাকলেও ব্যতিক্রমী ভাবে এই বিক্ষিপ্ত টিলা ও প্রস্তরররাজি বহু পুরাণকথার জন্ম দিয়েছে। রাম যখন সীতা উদ্ধারে লংকা যাত্রা করেন তখন হিমালয় থেকে সেতু বন্ধের পাথর আনা হচ্ছিল। সেসময় কিছু পাথর পড়ে ‘মামা ভাগনে’ পাহাড়ের সৃষ্টি এরকম কিংবদন্তী প্রচলিত আছে। পাহাড়েশ্বর শ্মশানকালীমন্দির এই দুবরাজপুর মামা ভাগ্নে পাহাড়ে অবস্থিত। পার্শ্ববর্তী হেতমপুর রাজবাড়িতে সত্যজিৎ রায়ের ‘অভিযান’ ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’ ছাড়াও একাধিক সিনেমার চিত্রগ্রহণ হয়েছে।
পিকনিক স্পট হিসেবেও জায়গাটি যথেষ্ট জনপ্রিয়।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে মামা ভাগ্নে পাহাড় ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা বিভিন্ন অসামাজিক কর্মকান্ডের আখড়া হয়ে উঠেছে। সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন অসামাজিক লোকজনের আনাগোনা বাড়তে থাকে। তাছাড়া এক শ্রেণীর অসচেতন পর্যটক পাথরের গায়ে। লিখে যান অশালীন মন্তব্য। ফলত ক্রমশই পাহাড়েশ্বর তথা মামা ভাগ্নে পাহাড় তার জৌলুস ও আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছে। বীরভূম বাসী সচেতন না হলে হয়তো আমাদের আগামী প্রজন্ম অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলবে।
ছবি ও বিষয়বস্তু :- সম্রাট মুখার্জি