১৯৫২র ১২ই জুলাই শ্রীশুভময় ঘোষ তার ” শান্তিনিকেতনের চিঠি” তে লিখছেন,” গোয়ালপাড়ার দিকে এগোলে অবাক হতে হয়,দিগন্ত দ্বিখন্ড করা তালশ্রেণীর মাঝে মাঝে বিরাট উঁচু পিরামিড নাকি ওগুলো? পাশের অনেকটা জমির মাটি কাটা,মাঝে বড়ো বড়ো স্তম্ভ।একী মিশরের মেমফিস আবিষ্কার? তা নয়।খাল কাটা হচ্ছে। ময়ূরাক্ষী নদীর যে পরিকল্পনা ,তারই একটি শাখা শান্তিনিকেতনের উত্তরে ওই খাল।পশ্চিমের সেই দিগন্তছোঁয়া মাঠের পর থেকে পূর্বদিকে একেবারে রেললাইন পর্যন্ত লম্বা।চওড়াও মন্দ নয়।কাজ অনেক এগিয়ে গেছে ,হয়তো আসছে মে মাসের আগেই এই খাল জল সরবরাহ করবে।”
ওই বইয়েরই ৩১ জুলাই,১৯৫৫ তে তিনি বলছেন,”প্রথমে মনে হয়েছিলো তার(খালের)যতটা তৈরি হয়েছে তার চেয়ে ভেঙ্গেছে বেশী।এখানে বড়জোর হাঁটু পর্যন্ত বৃষ্টির জল জমবে,বেশি কিছু হবেনা,এই ধারণাই ছিলো।কিন্তু গত ১৩ই জুলাই বাতিকার বাঁধ থেকে জল ছাড়া হয়েছে,এই খাল বেয়ে জল কাটোয়ার দিকে চলেছে।প্রথমে খবরটা কেউ জানতো না।ক্রমশ লোকমুখে ছড়াতে থাকল কথাটা,’খালে জল এসেছে’।দেখা গেল দূর থেকে পশ্চিমের দিকচক্র ছুঁয়ে জল আসছে,রুপোলি পাতের আকারে।স্রোতের পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে মাঝখানের পনেরো ফুট উঁচু ঝর্ণাটা দেখে।পূর্বদিকে কিছু দূরে রেলওয়ে লাইনের লাল ব্রিজের তল দিয়ে জল গেছে আরো ওদিকে।”
ছবি ও তথ্যঃ শুদ্ধসত্ত্ব ভট্টাচার্য[uam_ad id=”3726″]
[uam_ad id=”3726″]