মল্লারপুর ধরনী দেবেন হাইস্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী আলিয়া খাতুনের (১৭)। বিয়ের আয়োজন সব শেষ। আত্মীয়স্বজনও বাড়িতে আসতে শুরু করেছে। শনিবারের রাত পোহালেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছিল এক নাবালিকা। খবর পেয়ে গতকাল সন্ধ্যায় সেই বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটেছে,বীরভূমের মল্লারপুরের মুসলিম পাড়ায়।
মল্লারপুর গ্রামের নাবালিকার বিয়ে ঠিক হয়েছিল সিউড়ির বাসিন্দা টিপু শেখের সঙ্গে।আগামী ২৫শে ফেব্রুয়ারি রবিবার তাদের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেই মত সমস্ত কিছু ঠিক করা হয়ে গেছিল।কনের বাড়ি মল্লারপুরে আত্মীয়স্বজনরা আসতে শুরু করে দিয়েছিল।খবর পেয়ে মেয়ের বাড়িতে পোঁছায় ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের জয়েন বিডিও দেবজিৎ বড়াল,মল্লারপুর থানার পুলিশ ও মল্লারপুর ধরনী দেবেন হাইস্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকা।
দেবজিৎ বাবু মেয়ের বাবা ও মায়ের সঙ্গে কথা বলে, কম বয়সে মেয়ের বিয়ের ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরেন। তারপরই মেয়ের পরিবার সিদ্ধান্ত নেয়, ১৮ বছর বয়স না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। সেই মতো প্রশাসনের কর্তাদের মুচলেকাও দেন।
মেয়ের বাবা বলেন মেয়ের বিয়ে দিয়ে কিছুটা দায়মুক্ত হবো। কিন্তু প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে আমাকে সব কিছু বোঝালেন। এখন আমি ঠিক করে নিয়েছি মেয়ের বয়স ১৮ না হলে বিয়ে দেব না।
জয়েন বিডিও দেবজিৎ বড়াল আরো বলেন আমরা খবর পেয়ে যায় ওই নাবালিকার বাড়ি। পরিবারকে বোঝানো হয় কম বয়সে বিয়ে দিলে কি কি ক্ষতি হয়।
পঞ্চায়েতর সদস্যা সীমা বেগম বলে আমি গিয়ে মেয়ের বাবাকে বলি এখন পড়াশুনা করালে সরকার থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্প থেকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। আর ঠিক সময়ে বিয়ে দিলে রূপশ্রী প্রকল্প থেকে আরো টাকা পাওয়া যাবে। মেয়ের বাবা মুচলেখা দিয়ে বলে আমার মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেব না।
ভিডিও ও তথ্যঃ ভিক্টর
-বিজ্ঞাপন-
[uam_ad id=”3726″]